পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। বৃহস্পতিবারের হিংসায় দু’দলেরই এক জন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল ও আইএসএফ। বিরোধী দলের তরফে অভিযোগ উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার। শুক্রবার রাজ্যপালের পরিদর্শনের পরে ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে শনিবার সকালে এলাকায় ‘রুটমার্চ’ শুরু করল পুলিশ। বারুইপুরের পুলিশ সুপার মিস পুষ্পার নেতৃত্বে বিজয়গঞ্জ বাজার-সহ অন্যান্য সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। ভাঙড়ের মোড়ে মোড়ে চলছে নজরদারি, বসেছে পুলিশের পিকেটও।
অন্য দিকে ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর ব্লক অফিসে এ দিন সকাল থেকে মনোনয়ন পত্র স্ক্রুটিনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপস্থিত আছেন শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের প্রার্থীরাই। এর আগে, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে বিরোধীরা কোনও মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছিল আইএসএফ। রাজ্যপাল ভাঙড় পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মনোনয়ন জমা দেওয়ার আবেদন করেন দলের কর্মীরা। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে টানা দিন তিনেকের হিংসার জেরে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।