প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ: সুব্রত ও সৌরভ, সম্পাদনা: শুভাশিস
কলকাতা-মেলবোর্ন। ক্রিকেট মাঠে যুযুধান দু’দেশের দুই শহরকে জুড়েছে ট্রাম। সেই ১৯৯৪ সালে কলকাতায় এসে এ শহরের ট্রাম জীবনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ট্রাম কন্ডাক্টর ও চালক রবার্তো দি’আন্দ্রে-র। সেই থেকে, রবার্তোর ভাষায়, ‘বন্ধুত্বে’র শুরু— ‘ট্রাম বন্ধুত্ব’। রবার্তো আর কলকাতার ট্রামপ্রেমী কিছু মানুষের উদ্যোগে কলকাতা আর মেলবোর্নের ট্রাম সংস্থার মধ্যে সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত আদানপ্রদান শুরু হয় সেই নব্বইয়ের দশক থেকেই। এখন আর মেলবার্নে ট্রাম চালান না তিনি, তবে নিজেকে ‘ট্রামপ্রেমী’ (মেলবোর্নের চলতি ভাষায় গানজ়েল) বলেই পরিচয় দেন। রবার্তো বিশ্বাস করেন, ট্রামের মতো পরিবেশ বান্ধব যানের আবশ্যিক প্রয়োজন কলকাতার মতো দূষিত শহরে। মেলবোর্নের মতো আধুনিকীকরণ করলেই আগের মতো লাভজনক ও উপযোগী গণ পরিবহণের মাধ্যম হতে পারে এ শহরের ট্রাম।
মূলত রবার্তোর উদ্যোগেই প্রতি বছর কলকাতায় ট্রামের সূচনার উদ্যাপনে কার্নিভাল ‘ট্রামযাত্রা’র আয়োজন করা হয়ে আসছে। এক সময়ে পঞ্চাশটির মতো রুট থেকে আজ ২টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে কলকাতা আসা বন্ধ করেননি রবার্তো। এ বারের ট্রামযাত্রায় যোগ দিতে সময় মতো হাজির হয়েছেন। কাঁধে ঝোলানো দীর্ঘ দিনের সঙ্গী কন্ডাক্টরের ব্যাগে মেলবোর্নের ট্রাম টিকিট আর রঙিন ছবির কার্ড। কার্নিভালের ট্রামে কন্ডাক্টরের ভূমিকা পালন করলেন পুরনো ইউনিফর্ম পড়ে। পথে নতুন নতুন বন্ধুত্ব পাতালেন তাঁর অতি পছন্দের বাঙালিদের সঙ্গে। ভাসলেন ট্রামের প্রেমরসে।