ভিডিয়ো সৌজন্য: পিটিআই
ইমরান খানের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে অশান্ত ইসলামাবাদ। জ্বলছে লাহোর। বিক্ষোভ পেশোয়ার, করাচি, ফয়জ়লাবাদেও। তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই তৎপর ইসলামাবাদের পুলিশ। লাহোরে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছতেই শুরু হয় অশান্তি। প্রতিরোধের ডাক দিয়ে একটি ভিডিয়োয় ইমরান তাঁর সমর্থকদের কাছে ‘পাল্টা লড়াইয়ের বার্তা’ পৌঁছে দিতেই রাস্তায় নেমে পড়েন তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মী-সহ অসংখ্য সমর্থক। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবনের সামনে পৌঁছে যান পিটিআইয়ের সমর্থকেরা। তারপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল পর্যন্ত ফাটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যত হিমশিম খায় পুলিশ। যার ফলে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করার পরও জ়ামান পার্কের বাসভবন থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
৭০ বছর বয়সী ইমরান খান ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “সরকার ভাবছে আমার গ্রেফতারির পর গোটা দেশ ঘুমিয়ে পড়বে। ওদের ভুল প্রমাণ করার সময় এসেছে। আল্লাহ্ আমাকে সব দিয়েছেন। আমি সারা জীবন আপনাদের জন্য লড়াই করেছি। আগামী দিনেও আমি এই লড়াই চালিয়ে যাব। আমাকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা যদি আমাকে হত্যাও করা হয়, আপনারা এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। ”
১১ মাস আগে ইমরান সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসে পিএমএল জোট। এপ্রিলে পাকিস্তানের সংসদে আস্থা ভোটে হারার পর ইমরান দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। এই চক্রান্তের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইমরানের দাবি ছিল, চিন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের মতো দেশের জন্য স্বতন্ত্র বিদেশ নীতি তৈরি করার জন্যই এই পরিণতির শিকার তিনি। তার পর থেকে এই পর্যন্ত ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৮১টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি শাহবাজ শরিফের (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) পুলিশ।