প্রতিবেদন: শ্রাবস্তী, চিত্রগ্রহণ: সুব্রত ও প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: সুব্রত
অলিতে গলিতে সাইকেলের বেল— এই শহরের অতি পরিচিত। বড়ো টিনের ক্যান দুদিকে বসিয়ে সাইকেল নিয়ে আসেন দুধওয়ালা। সকাল সকাল সাইকেল চেপে দেখা মেলে খবরের কাগজওয়ালাদের। পাশের পাড়ায় পড়তে যাওয়া থেকে কাজের জায়গা— নানান বয়সে সাইকেল কলকাতার অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। তবে, রাজপথের যানজট, গাড়ির আধিক্য বড়ো রাস্তাগুলিকে সাইকেলের জন্য বিপজ্জনক করে তোলে। এছাড়া, শহরের সব রাস্তায় সাইকেলের অনুমতিও নেই। বেশ কিছু অফিসের পার্কিং লটে জায়গা পায় না সাইকেল। উড়ালপুলে ঢাকা কলকাতায় সাইকেল চালানোর বিবিধ অসুবিধে। তাও, এমন বহু মানুষ এই শহরে আছেন, হাজার প্রতিকুলতা সত্ত্বেও সাইকেল ছাড়া যাঁদের গতি নেই।
অতিমারি ছবিটাকে খানিক বদলেছে। অনেকে নতুন করে সাইকেল চালাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ সাইকেল চালাতে শিখেওছেন ওই সময়। তাঁদের অনেকে উচ্চপদেও আসীন। যেমন দেবাঞ্জন চক্রবর্তী।
শহরে বেড়েছে সাইকেল আরোহীর সংখ্যা। ফলে, জোরালো হয়েছে সাইকেল-বান্ধব শহরের প্রয়োজনীয়তা। প্রশাসনের কাছে একই দাবি করছেন কলকাতার সাইকেল সমাজের সদস্য শতঞ্জীব গুপ্ত। ‘সাইকেল গ্যারেজ’ থেকে ‘সাইকেল লেন’ আশু প্রয়োজন, যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। উপযুক্ত পরিকাঠামো শহরে সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সাইকেলকে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে তুলতে আগ্রহী হবেন।