Bus Conductor

৩ নম্বর রুটে চলে একটাই বাস, মালিক-কন্ডাক্টর এক জনই

সারা দিনে বাস নিয়ে মোট চার বার যাতায়াত করেন সুদীপ গোস্বামী। হাতে গোনা কয়েক জন যাত্রী ওঠেন। রোজের তেলের খরচই ওঠে না। তাই আর কন্ডাক্টর রাখেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:১৩
Share:
Advertisement

একটা সময় দিনে ৭০টি বাস চলত। শহরতলির যাত্রীদের রোজের ভরসা ছিল ৩ নম্বর রুটের এই বাস। অটো-টোটোর দৌলতে শ্রীরামপুর থেকে বাগবাজার পর্যন্ত ওই রুট এখন প্রায় বাস-বিহীন। দিনে এখন ওই রুটে একটাই বাস যাতায়াত করে। বাসের মালিকই কন্ডাক্টরি করেন। সারা দিনে বাস নিয়ে মোট চার বার যাতায়াত করেন সুদীপ গোস্বামী। হাতে গোনা কয়েক জন যাত্রী ওঠেন। রোজের তেলের খরচই ওঠে না। তাই আর কন্ডাক্টর রাখেন না। নিজেই টিকিট করে নেন। সুদীপের কথায়, ‘‘চোখের সামনে কত বাস বন্ধ হয়ে গেল। অনেক মালিক বাস তুলে নিয়েছেন।’’ তবু তিনি ২০১১ সালে কেনা বাস এখন চালিয়ে যাচ্ছেন। লোকসান করেই। আগে বাগবাজার পর্যন্ত চলত। এখন দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চালান। এত কিছুর পরেও কেন চালিয়ে যাচ্ছেন? সুদীপের কথায়, ‘‘চালাই, কারণ, মায়া পড়ে গিয়েছে। বাসের উপর। আর এই তিন নম্বর রুটের উপর।’’কেন বাস আগের মতো আর যাত্রী হয় না? চালকের দাবি, টোটোর দৌরাত্ম্যেই এই সঙ্কট। অল্প দূরত্ব যাওয়ার জন্য এখন আর কেউ বাস চাপতে পছন্দ করেন না। তাই মার খাচ্ছে বাস। তার উপর চাপ বাড়িয়েছে সরকারি নির্দেশ। সরকার প্রত্যেক বাসে বাধ্যতামূলক ভাবে ভেহিকেল লোকেশান ট্রাকিং ডিভাইস বা ভিএলটিডি বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর খরচ ১২ হাজার টাকা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাসটি বিপদে পড়লে প্যানিক বাটন টিপে দিলে স্থানীয় পুলিশ জানতে পারবে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশ সেই বাসকে খুঁজে নিয়ে সাহায্য করবে। লোকসানের মধ্যে এই নতুন নির্দেশে বিপাকে বাসের মালিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement