প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: সুব্রত
সারা রাত বালেশ্বর স্টেশনে আটকে থাকার পর হাওড়া পৌঁছলেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের প্রায় হাজার জন যাত্রী। যাত্রীদের জন্য আগে থেকেই চিকিৎসকের দল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ব্যবস্থা করা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সেরও। তবে যাঁরা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে করে হাওড়া পৌঁছেছেন তাঁদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত নন বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকেরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একই সঙ্গে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি মালগাড়িও (যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে দু’টি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল)। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরাগুলি। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। করমণ্ডলের পাশাপাশি, ক্ষতির মুখে পড়ে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দু’টি কামরা। আহত হন সেই ট্রেনের বহু যাত্রী। তার পর থেকেই সেই ট্রেনের যাত্রীরা বালেশ্বর স্টেশনে আটকে ছিলেন। শনিবার দুপুরে সেই যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া ফিরল ট্রেনটি।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এসডিজিএম বিনীত গুপ্ত বলেন, ‘‘প্রথমে যে ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছয়, সেটি উদ্ধারকারী ট্রেন ছিল। সেই ট্রেনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রায় ২০০ জন যাত্রী হাওড়া ফেরেন। এর পর প্রায় হাজার জন যাত্রীকে নিয়ে যশবন্তপুর এক্সপ্রেস হাওড়া পৌঁছয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়া কামরা দু’টি সেখানেই রেখে বাকি ট্রেন ফিরে এসেছে। যাত্রীদের জন্য আগে থেকেই চিকিৎসকের দল তৈরি রাখা হয়েছিল। তাঁদের শুশ্রূষা চলছে। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’ হাওড়া রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষের তরফে ট্রেনের যাত্রীদের জন্য স্টেশন চত্বরে ট্যাক্সি ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
তবে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অভিযোগ, সারা রাত তাঁরা খাবার এবং জল ছাড়ায় বালেশ্বর স্টেশনে রাত কাটিয়েছেন। রেলের তরফে তাঁদের জন্য খাবার বা জলের ব্যবস্থা করা হয়নি। খড়্গপুরে এসে তাঁরা নিজের নিজের উদ্যোগে খাবারের ব্যবস্থা করেন বলেও যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন।