‘আর হিংসা নয়’। মণিপুরের জন্য শান্তির বার্তা বয়ে আনলেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু’দিনের সফর শেষে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শাহের ঘোষণা, ‘‘দীর্ঘ একমাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারের তরফেই ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন”। একই সঙ্গে মণিপুরের প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ত্রাণের উপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাত দিনের মধ্যে মণিপুরে তৈরি হবে অস্থায়ী প্ল্যাটফর্ম। যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপরই সারা ভারতের সঙ্গে রেলপথে জুড়বে মণিপুর। আকাশপথেও যোগাযোগ তৈরি করতে তৎপর রাজ্য এবং কেন্দ্র। শীঘ্রই চালু করা হবে হেলিকপ্টার পরিষেবা। কেন্দ্র থেকে মণিপুরের জন্য আসছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল। আগামী দিনে মণিপুরে শিক্ষার অগ্রগতির জন্য শিক্ষা দফতরের বিবিধ পরিকল্পনার কথাও এ দিন জানালেন শাহ।
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে অমিত শাহর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘আর যেন হিংসা না হয়। পুলিশ শুক্রবার থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু করবে, আপনারা অস্ত্র সমর্পণ করুন।” মণিপুর মেইতেই এবং ‘মেইতেই বিরোধী’ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৬টি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিবিআইয়ের হাতে। হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে শুরু হবে তদন্ত। অন্যদিকে শান্তি কায়েম করতে মণিপুরের রাজ্যপালের নেতৃত্বে তৈরি হবে শান্তি কমিটি, যেখানে সদস্য হিসাবে থাকবেন রাজনীতিবিদ, নির্বাচিত প্রতিনিধি, শিল্পপতি, ক্রীড়াবিদ-সহ আরও অনেকে, ঘোষণা অমিত শাহের।