সম্পাদনা: সুব্রত
সংসদের নিরাপত্তায় বিচ্যুতি, বিজেপি সাংসদের দেওয়া পাসে ভবনের ভিতরে ঢুকে ‘তাণ্ডব’! এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে উত্তাল শীতকালীন অধিবেশন। উচ্চ এবং নিম্ন— সংসদের উভয় কক্ষেই সরব বিরোধীরা। পরপর দু’দিন হৈ হট্টগোলের মধ্যেই ১৪১ জন সাংসদকে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। রাজ্যসভা থেকে ‘সাসপেন্ড’ হওয়া বিরোধী সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের জয়রাম নরেশ, কেসি বেনুগোপাল, রণদীপ সিংহ সূর্যেওয়ালা। লোকসভা থেকে ‘সাসপেন্ড’ হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, অসিত মাল, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীলকুমার মণ্ডল এবং শতাব্দী রায়রা। শীতকালীন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। যার প্রতিবাদে একজোট হয়ে নতুন সংসদ ভবনের মকর দরজার সামনে বিক্ষোভে বসেন বিরোধী সাংসদরা। সেখানেই দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে নিয়ে ‘মিমিক’ করতে দেখা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাত নাড়িয়ে বিবিধ অঙ্গভঙ্গি করে ধনখড়ের নকল করতে থাকেন তৃণমূল সাংসদ। যা আবার নিজের মোবাইলে ক্যামরাবন্দি করেন রাহুল গান্ধী। এই ঘটনায় ‘ব্যথিত’ জগদীপ ধনখড়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। ‘হাস্যকর’, ‘লজ্জাজনক’— কল্যাণ এবং রাহুলের সমালোচনায় জগদীপ ধনখড়।