প্রতিবেদন: প্রচেতা ও সুদীপ্তা, সম্পাদনা: বিজন
এতো কেঁচো খুঁড়তে সাপ! রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতেই সরবেড়িয়ায় এসেছিল ইডি। তারপর সময় যত এগিয়েছে ঘটনার ঘনঘটায় শিরোনামে এসেছে সন্দেশখালি। নোনা জলে ‘সোনা চাষে’র লোভে হাতছাড়া হয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। নষ্ট হয়েছে ফসল। সামনে এসেছে সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগও। আর যে ঘটনায় গোটা দেশের নজর কেড়েছে সন্দেশখালি, তা হল ‘গণধর্ষণ’। অভিযুক্তেরা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সব নেতা। পাওয়া, না পাওয়া আর অপ্রাপ্তির তালিকায় নতুন সংযোজন শিক্ষা। গোটা ঝুপখালি এলাকায় একটাই স্কুল, সেটাও ধুঁকছে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব তো ছিলই, দোসর হয়েছে দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাঠপোল থেকে হেঁটে অন্তত এক কিলোমিটার পথ, স্কুলে আসার জন্য যে ন্যূনতম যান চলাচলের প্রয়োজন, সেই বন্দোবস্ত নেই। বর্ষায় রাস্তা হারায় ঠিকানা। তার উপর অশান্তি, আগুন, উত্তাপে জটিল থেকে আরও জটিলতর হচ্ছে ঝুপখালির পরিবেশ। ঝুপখালি জুনিয়র এবং ঝুপখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব বলতে রয়েছে শুধু স্কুলবাড়ি, শিক্ষার হদিশ নেই।