৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্গা পুজো করে চলেছে বারুইপুরে রায়চৌধুরী পরিবার। এই পুজোর অন্যতম বৈচিত্র্য হল, মহালয়ার পর দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। সপ্তমী এবং অষ্টমীতে পাঁঠাবলি হয়। নবমীতে হয় আঁখ, চাল কুমড়ো বলি। দশমীতে ওড়ানো হয় নীলকণ্ঠ পাখি। মনে করা হয়, নিরঞ্জনের পর নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে গিয়ে কৈলাসে শিবকে দুর্গার রওনা হওয়ার খবর দেয়। এই বিশ্বাস থেকে এখনও বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে থাকে রায়চৌধুরীরা। তার আগে রুপোর পাখায় দেবীকে বাতাস করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটে। রাস্তা পরিষ্কার করা হয় রুপোর ঝাড়ুতে। গত বছর পাখি মেলেনি। এ বার পাখি পাওয়া গেলে সেই পুরানো রীতি মেনেই ওড়ানো হবে নীলকণ্ঠ, দাবি রায়চৌধুরীদের।