ডোরিনা ক্রসিংয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের একাদশতম দিন। আড়াইশো ঘণ্টা না খেয়ে অনশনে ১৪ জন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। অনিকেত, অনুষ্টুপ, পুলস্ত্য, তনয়া, অলোক এবং সৌভিক— এঁরা প্রত্যেকেই রয়েছেন আইসিইউতে। অন্য দিকে, দাঁতে অন্ন না কেটে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন স্নিগ্ধা, সায়ন্তনী, অর্ণব, অলোলিকা, পরিচয়, রুমেলিকা, স্পন্দন এবং সন্দীপ। মঙ্গলবার জুনিয়র চিকিৎসকদের ঘোষণা অনুযায়ী, রানি রাসমনি রোডে আয়োজিত হয়েছে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। ধর্মতলায় সে দিনের জনজোয়ার, গণসমর্থন ছিল চোখে পড়ার মতো। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার তো বলেই ফেললেন, ‘একটা সময় এই ভিড়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম।’ মানুষের এই জনসমর্থনই আন্দোলনের চালিকাশক্তি, বলছেন দেবাশিস। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় দেবাশিস বলেন, ‘মানববন্ধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে, সেটাই মানুষের ভাষা।’
ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকেই রাজ্যে ঘটে যাওয়া আরও একাধিক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। ‘রাজ্যের প্রশাসন যেমন দায়ী, একই সঙ্গে সমাজও দায়ী। অনেক গভীরে গিয়ে এই সামাজিক ব্যাধির চিকিৎসা করতে হবে,’ মন্তব্য দেবাশিসের। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে রাজ্যের মনোভাবের নিন্দাও করেছেন। ‘রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা’, সিভিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার সম্মুখীন হয়েছে রাজ্য। নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা রাখা হোক এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে নিরাপত্তার বিষয়টি ছাড়া যাবে না, সাফ কথা দেবাশিস হালদারের।