প্রতিবেদন: সৌরভ, সম্পাদনা: সুব্রত
বাঁশ, কাঠ দিয়ে তৈরি হয় কাঠামো। তারপর টানটান করে সাঁটিয়ে দেওয়া হয় কাপড়। এরপর এঁটেল মাটির কাদায় কাপড়ের উপর তৈরি হয় ক্যানভাস। আর সেই ক্যানভাসের উপরই পড়ে খড়ি। শিল্পী তাঁর ভাবনা ফুঁটিয়ে তোলেন এই খড়ির ক্যানভাসেই। প্রথমে এঁকে নেওয়া হয় ‘আউটলাইন’। অর্থাৎ কোথায় বসবেন দেবী দুর্গা, আর কোথায়ই বা থাকবে তাঁর বাহন সিংহ। মাপঝোঁক করে লাইন টেনে একে নিতে হয় সাইড পুতুল। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ তো আছেই— ছোট্ট স্থানে বড় জায়গা বেছে নিতে হয় মহিষাসুরের জন্যও। এভাবেই শিল্পীর ভাবনায় তুলির টানে বিমূর্ত থেকে মূর্ত হন দেবী। প্রজন্মের পর প্রজন্ম, এই পটের দুর্গার জন্ম দিয়ে আসছে বাংলা। দুর্গা পুজোর আগে পটশিল্পের ‘আঁতুড়ঘর’ বীরভূমের হাটসেরান্দি গ্রামে আনন্দবাজার অনলাইন।