কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বলরামপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের মানিক তালুকদার। অভাবের সংসার। পেটের দায়ে ভিন্রাজ্যে কাজ নেওয়া। প্রায় ৬ মাস আগে, মানিক হায়দরাবাদের এক নির্মাণসংস্থার হয়ে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে যান। সেখানে ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওর মধ্যে পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। সেই কাজেই বিদ্যুৎকর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মানিক। ১২ নভেম্বর সেই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়লে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়েন মানিক, সঙ্গে আরও ৪০ জন শ্রমিক। টিভি মারফত খবর পায় পরিবার। তার পর বার বার চেষ্টা করেও মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কোম্পানির তরফ থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। তাঁর ছেলে মনি তালুকদারের অভিযোগের নিশানায় নির্মাণকারী সংস্থা। তাঁর দাবি, নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কোনও ‘সেফটি পাইপ’ রাখা ছিল না, তার ফলেই এই দুর্ঘটনা।
উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে গত ন’দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে তিন জন এই বাংলার। মানিকের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের কেউ কোনও খবর দিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে উদ্ভ্রান্ত ওই শ্রমিকের পরিবার। স্বামীর ছবি বুকে জড়িয়ে, চোখের জলে দিন কাটছে মানিকের স্ত্রী সোমা তালুকদারের।