খসে পড়ছে সিমেন্টের চাঙর। লোহার রড বেরিয়ে পরেছে। চিকিৎসা করাতে যেতেই ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ইটাচুনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এখন এমনটাই দশা। এই নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের। হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, ‘‘হাসপাতাল মেরামতির জন্য খরচের খতিয়ান নেওয়ার কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ চালু করব।’’হুগলির পাণ্ডুয়ার খন্যান ইটাচুনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোজ চিকিৎসা করাতে যান বহু মানুষ। ইটাচুনা, বড় সরসা, মান্দারন, মাকালডি, খন্যান-সহ ১৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা করান এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরের দেওয়ালে এখন ফাটল ধরেছে। সেই ফাটল থেকে আগাছা গজিয়েছে। ভেঙ্গে গিয়েছে জানলার কাচ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসা।রোগী বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ‘‘কাছাকাছি কোনও হাসপাতাল না থাকায় এক মাত্র ভরসা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। না হলে অনেকটা দূরে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে হবে।’’ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অর্পণ পুরকাইত বলেন, ‘‘হাসপাতালের আউটডোর, ভ্যাকসিন রুম-সহ বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমরা যে ঘরে বসে চিকিৎসা করছি, সেটাতেও ফাটল ধরেছে। বিষয়টি পাণ্ডুয়া ব্লক মেডিক্যাল অফিসারকে জানানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসে পরিদর্শন করে গিয়েছে।’’এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। পান্ডুয়ার বিজেপি কনভেনার অশোক দত্ত অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সারা রাজ্যের সঙ্গে হুগলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থা। তৃণমূল সরকার দেউলিয়া সরকার হতে চলেছে। তাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন করবে কী ভাবে? যে ভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভেঙে পড়ছে, আগামী দিনে তৃণমূলে এ ভাবে ভেঙে পড়বে।’’ বিজেপিকে একহাত নিয়ে পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে স্বাস্থ্য পরিষেবার রুগ্ন দশা ছিল। তৃণমূল এখনও ভেঙে যায়নি। পঞ্চাশ বছর ক্ষমতায় থাকবে।’’