ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে ‘ওয়াগনার বাহিনী’। সেই ‘ওয়াগনার বাহিনী’র উপরই কি না রাশিয়ার সেনার আক্রমণ! অন্তত এক হাজার ভাড়াটে সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ক্রোধে মস্কোর বিরুদ্ধেই কামান দেগে বসেছেন ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বিশ্বস্ত’ হিসাবে পরিচিত ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। শুরু হয় ‘মস্কো চলো’ অভিযান। মস্কোকে নিজের ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে চাইছিল ‘ওয়াগনার বাহিনী’। এক সময় পুতিনের রাঁধুনী হিসাবে শিরোনাম তৈরি করেছিলেন এই ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। ২০০৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের জন্য আয়োজিত রাশিয়ার সরকারি নৈশভোজের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে এই ইয়েভগেনিকে সরকারি সহায়তা করে তাঁর জন্য ‘স্কুল লাঞ্চ ফ্যাক্টরি’ খুলে দেন স্বয়ং পুতিন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই ইয়েভগেনিই কি না হয়ে দাঁড়ালেন ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’? রাশিয়ার সেনাকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে শক্তি প্রদর্শনে ইয়েভগেনির নেতৃত্বাধীন ‘ওয়াগনার বাহিনী’। অন্য দিকে, ইয়েভগেনির এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। সতর্কবাণী দিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মস্কো। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইয়েভগেনির সঙ্গে সমঝোতার পথে হেঁটেছে মস্কো। মাঝপথেই ‘মস্কো অভিযান’ থামিয়ে আবার ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। এই গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে আমেরিকা।