প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সুব্রত
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা যাওয়ার সময় দুর্যোগের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। জরুরি অবতরণ করানো হয় সেবকের এয়ার বেসে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপদেই রয়েছেন। তবে পা এবং কোমরে সামান্য চোট পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার কিছু ক্ষণ আগে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এর পর মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধুনা দল থেকে সাসপেন্ডেড, নিয়োগ-দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী তাঁরা। একসঙ্গে বহু কর্মসূচিতে গিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর যদিও দলের মহা সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন খোদ মমতাই। তারপরেও একাধিকবার তৃণমূলের পক্ষেই কথা বলতে দেখা গেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। আলিপুর সিবিআই আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে এসে এই ঘটনার কথা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পার্থ। মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
এ দিন বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছলে হুইলচেয়ার এনে দেন সেখানকার কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী যদিও হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে সম্মত হননি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকেন তিনি। স্পষ্ট বোঝা যায়, তাঁর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। মমতার চোট কতটা তা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা। তাঁর এমআরআই পরীক্ষাও হবে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি রাখা ছিল উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই পরীক্ষানিরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। তৈরি ছিলেন চিকিৎসকেরাও। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর আগেই সেখানে পৌঁছন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।