ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠকে ২৮টি দলের অংশগ্রহণ। বৈঠক হল প্রায় ৩ ঘণ্টা। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসাবে উঠে এল শতাধিক সাংসদের ‘সাসপেন্ড’ হওয়ার ঘটনা। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪১ সাংসদের ‘সাসপেন্ড’ হওয়ার ঘটনা দেশে বিরল। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২২ ডিসেম্বর সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে ইন্ডিয়া মহাজোট। আলোচনায় দ্বিতীয় বিষয় হিসাবে উঠে এসেছে নির্বাচনী আসন সমঝোতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ পওয়াররা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যস্তরে আলোচনা করেই আসন সমঝোতা হবে। রাজ্যস্তরে মীমাংসা না হলে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা আলোচনা, পর্যালোচনা করে সমাধান সূত্র বার করার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে পঞ্জাব, দিল্লিতে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতিই নিচ্ছে ইন্ডিয়া মহাজোট। আলোচনা শেষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মহাজোটের আগামী দিনের রূপরেখা সম্পর্কে অবগত করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। কে হবেন বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ? তাঁর নামই প্রস্তাব করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই বিষয়ে কী মত? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “আগে আমরা চেষ্টা করব সংসদে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠাতা বৃদ্ধি করতে। কী ভাবে জিততে হবে সেই নিয়েই আলোচনা করেছি। সাংসদই না থাকলে কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে?” একই সঙ্গে তিনি বলেন, ৫ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জিতে মোদী-শাহ মনে করছে তাঁরাই ‘হুকুমত’ চালাবে, কিন্তু সেটা চলবে না। বিরোধীদের একসঙ্গে একই মঞ্চে নিয়ে এসে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে ইন্ডিয়া জোট সারা দেশে ৮টি থেকে ১০টি জনসভা করবে।