বাবা কানাই কর্মকার চুড়ি, মালা ফিতে মোটরে চাপিয়ে সাত সকালে বেরিয়ে পড়েন। গ্রামেগঞ্জে ঘুরে দিনভর যে সামান্য আয় হয় তা দিয়েই চলে সংসার। বাবার কাজে মাঝেমধ্যে হাত লাগায় ছেলে ছোটনও। ফেরিওয়ালা সেই ছেলে প্রবেশিকা পরীক্ষার বেড়া টপকে সোজা হাজির আইআইটি খড়্গপুরে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেডে ভর্তি হয়ে এখন তাঁর চোখজোড়া স্বপ্ন দেশ ও দশের এক জন হয়ে ওঠার। ছেলের এই সাফল্যে আনন্দের মাঝেই কর্মকার পরিবারে এখন দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। ছেলের পড়ার খরচ চালাবেন কী ভাবে, ভেবেই ঘুম ছুটেছে বাবা কানাই ও মা ববিতা কর্মকারের।