সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে তিনি না থেকেও আছেন। ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরকেই জাতীয় ‘আইকন’ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট সচেতনতায় সচিনের বার্তা, ‘আমার ভোট আমার দায়িত্ব।’ ‘ভোট কোনও ছুটির দিন নয়, দায়িত্ব পালনের দিন’, বলছেন সচিন।
২০১২ সালে প্রথম বারের জন্য সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য করা হয়েছিল সচিন তেন্ডুলকরকে। রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে কেমন ছিলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’?
৫১ বছরের সচিন, ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। সংসদে উপস্থিতির জাতীয় গড় যেখানে ৭৯ শতাংশ, সেখানে সচিনের মার্কশিটে রয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ ‘অ্যাটেনডেন্স’। ৬ বছরের মেয়াদকালে সচিন তেন্ডুলকর একাধিক অধিবেশনে সামিল হলেও কোনও বিতর্কেই থাকেননি। প্রশ্ন করেছেন সর্বমোট ২২টি। তার মধ্যে অগ্রাধিকার পেয়েছে খেলা। বিশেষ করে পাঠ্যবইয়ে খেলাধুলোকে বাধ্যতামূলক করার জন্যই সংসদের উচ্চকক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। মুম্বইয়ের শহরতলিতে রেল পরিষেবার উন্নতির বিষয়টিও সংসদে তুলে ধরেছেন সচিন। এমনকি পরিবেশ সচেতনতা নিয়েও বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পীঠস্থানে প্রশ্ন রেখেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের ‘অল টাইম গ্রেট’।