উত্তরণের গল্প হতেই পারত। মেদিনীপুরের চাষির মেয়ে ভেবেছিলেন শিক্ষক হবেন। টানাটানির সংসারে হাল ধরবেন। অসুস্থ বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়িও তাই। এসএসসি-তে র্যাঙ্ক করার পর মেয়ে ভেবেছিলেন এ বার সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। হয়নি। দিনের পর দিন কেটেছে রাস্তায়, ধর্নামঞ্চে। নিয়োগের দাবিতে মাথা ন্যাড়া হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। রায়ের পর রায়, বিক্ষোভের পর বিক্ষোভ— হাল ফেরেনি। ক্লাস টু-তে পড়া ছেলে সবটা ভাল করে বোঝেও না, কিন্তু তারও প্রশ্ন, কবে চাকরি পাবে মা? ছেলেকে অধিকার বোধের পাঠ দেন মা। সংসার সামলে, হেঁশেল ঠেলে আবার ফেরেন ধর্নাতলায়, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। হকের চাকরি আদায় করে নিতে হবে তো! আনন্দবাজার অনলাইনে পূর্ব মেদিনীপুরের চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্রের গল্প।