প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর ও শুভদীপ, সম্পাদনা: সৈকত
সন্তানের হাতে তাস দেখলেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান মধ্যবিত্ত বাবা-মা। এই বোধহয় পড়াশোনা শিকেয় উঠল, লাটে উঠল ‘কেরিয়ার’। অর্ণব দাগার বাবা-মা ব্যতিক্রম সন্দেহ নেই। ছেলের নেশা তাসের উপর তাস সাজিয়ে বড় বড় স্থাপত্যের মডেল বানানো। বাবা, মা, ঠাকুরদা, ঠাকুমা— কেউই বলেননি “এ সব করে ফালতু সময় নষ্ট কোরো না!” তা বলে কখনও পড়াশোনায় অবহেলা করে না দশম শ্রেণির ছাত্র। শ্রী শ্রী অ্যাকাডেমিতে অর্ণবের শিক্ষিকা এবং স্কুলের অধ্যক্ষাও এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন তা। অর্ণবের ‘নেশা’য় প্রশ্রয় আছে তাঁদেরও। এত সমর্থন নিষ্ফল হয়নি। সদ্য তার তাসের ঘরের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খাতায় নাম তুলেছে অর্ণব। আকাশ ছোঁয়া তো হল, এর পরে কী? অর্ণবের স্বপ্ন স্থাপত্যবিদ হওয়া, কল্পজগৎকে মাটির বুকে ইট-পাথরে গেঁথে সত্যি করে তোলা।