প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ: সুব্রত
চেয়েও বিচ্যুতি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছিল বামেরা। ৩৪ বছরের প্রশাসনের শেষের দিকে বিত্তবানদের ‘অনুপ্রবেশ’, বিশেষ করে পঞ্চায়েতে স্বার্থান্বেষীদের ক্ষমতা দখলই পতন ডেকে এনেছিল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘গ্রাম সরকার’ নিয়ে অকপট কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, “দীর্ঘ দিন প্রশাসনে থাকলে অনেক রোগ দেখা দেয়। নীতি-নৈতিকতায় বিচ্যুতি, স্বজনপোষণ, দুর্নীতি দেখা দিতে পারে। আমরা অনেকটাই চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পুরোপুরি আটাকাতে পারিনি। শেষের দিকে বিত্তবানেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পঞ্চায়েতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করলেন।” কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বাম আমলে পঞ্চায়েতকে ‘রোগমুক্ত’ করার চেষ্টায় তাঁদের কোনও খামতি ছিল না। বরং এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার কথায়, “মমতা তো এখন আর ছবি আঁকেন না, কোনও প্রদর্শনীও দেখি না। এত টাকা আসছে কোথা থেকে? তৃণমূলের আমলে নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।”