প্রতিবেদন ও চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর
ঝাঁ চকচকে শপিং মল, আকাশচুম্বী বহুতল, কেতাদুরস্ত আইটি অফিস— ‘স্মার্ট সিটি’। রাজারহাটের চাষের জমি, ভেড়ি বুজিয়ে গড়ে উঠেছে নিউ টাউন। শহরের উচ্চবিত্তের নতুন ঠিকানা কলকাতার উপকণ্ঠের এই উপনগরী। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ১ এবং ২-এর আটটি মৌজার অন্তত ১৫ হাজার বাসিন্দার। জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ছে এই এলাকা। এতেই আপত্তি জানিয়েছেন নিউ টাউনবাসীর একাংশ। পঞ্চায়েতে অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিবাদে সই সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। আবেদন করেছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। তাঁদের প্রশ্ন, পানীয় জল, রাস্তা, আলোর মতো নাগরিক পরিকাঠামোর দায়িত্বে রয়েছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি। তা হলে পঞ্চায়েতের ভূমিকা কী? উপনগরীর বাসিন্দাদের সংগঠন নিউ টাউন ফোরাম অ্যান্ড নিউজ়ের চেয়ারপার্সন সমরেশ দাস জানাচ্ছেন, সকলেই আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তাই এ বারে ভোট দিতে যাবেন না নিউ টাউনবাসীর একাংশ। সমরেশের প্রশ্ন, “যে ভোট আমার নয়, সেখানে কেন ভোট দিতে যাব?”
২০১৮ সালেও জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনেই ছিল নিউ টাউনের এই অঞ্চল। তখন এখান থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে দু’জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ বারে আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটে। প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ নিউ টাউনের বাসিন্দা হলেও অধিকাংশই বাইরের, জানাচ্ছেন সমরেশ। প্রসঙ্গত, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের নগর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে, নিউ টাউনকে পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকার বিধানসভায় দ্রুত একটি বিল আনতে চলেছে। বলাই বাহুল্য, সে বিল এখনও আসেনি। তার আগেই দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। ক’জন নিউ টাউনবাসী বুথমুখী হবেন?