প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা: সুব্রত
ইম্ফলের ‘রিলিফ ক্যাম্প’-এর এক মেইতেই মহিলা বলছিলেন যে বাচ্চারা যখন খেলা থেকে উঠে আসতে চায় না তখন তিনি তাদের ‘কুকিরা চলে আসবে’ বলে ভয় দেখান। বাচ্চারাও পালিয়ে আসে সঙ্গে সঙ্গে। চূড়াচাঁদপুরের কুকি ত্রাণশিবিরের বাচ্চারা ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ খেলছে, বলছে “বড় হয়ে মেইতেই মারব”। মণিপুর জুড়ে প্রায় সাড়ে তিনশো ত্রাণশিবিরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ১৩ হাজার শিশু আর কিশোর-কিশোরী। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে অন্য পক্ষ, রাতের অন্ধকারে বাবা-মার হাত ধরে পালিয়ে আসতে হয়েছে ত্রাণশিবিরে। হয়তো রাত কেটেছে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে! বিভিন্ন ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবক আর বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ছোটদের মধ্যে অনেকেরই ‘পিটিএসডি’-র লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ। কুকি যুবক বলছেন, নিজের গ্রাম যখন আক্রান্ত তখন কি আর নিজের ‘কেরিয়ার’-এর কথা মনে থাকে! একই বয়ান শোনা যাচ্ছে মেইতেই তরুণের মুখেও। সবারই যুদ্ধ-সাজ এখন। এত বিদ্বেষ আর সন্দেহ নিয়ে বড় হচ্ছে যে বাচ্চারা, তাদের ভবিষ্যৎ কী? সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে কোনও সশস্ত্র সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু নেই। মণিপুরের ছবিটা কিন্তু সেই বয়ানের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।