সম্পাদনা: সৈকত
সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। ৭ জানুয়ারি দেশে সাধারণ নির্বাচন, ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবারের এই ঘোষণার পর থেকেই দেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি। নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এই হরতালকে সমর্থন করছে গণ অধিকার পরিষদ এবং লেবার পার্টি। বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজ়ভি বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেন, ১৯ নভেম্বর রবিবার সকাল ৬টা থেকে হরতাল শুরু হবে। চলবে ২১ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। বিএনপি মূলত দু’টি দাবিকে সামনে রেখেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রথমত, তাঁরা চাইছেন নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হোক। সে ক্ষেত্রে পদত্যাগ করতে হবে শেখ হাসিনাকে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আগে কারাবন্দি সব বিএনপি নেতাকে মুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে বিএনপি’র সেক্রেটারি মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি চেয়ে সরব হয়েছেন রুহুল কবীর রিজ়ভি।
নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি। গত ২৮ অক্টোবর এই দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনেও নামেন তাঁরা। সেখানে একজন পুলিশ-সহ মোট চার জনের মৃত্যু হয়। শতাধিক আহত। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার অভিঘাতে প্রশাসন গোটা দেশের ৮,০০০ বিরোধী নেতাকে কারাবন্দি করেছে। তার মধ্যে রয়েছেন মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরও।
২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর আমলেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতু। তবে তাঁর ‘দমনপীড়ন’ নীতির জন্য অনেক ক্ষেত্রে সমালোচিতও হয়েছেন তিনি।