কেটে গিয়েছে ৯ দিন! উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে অনেকেরই বমিভাব বা মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিশেষজ্ঞ দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাঁচ দফা পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাঁচটি সরকারি সংস্থা দিনরাত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিন দিক থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের বার করে আনার প্রচেষ্টা চলছে। সোমবারই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আশ্বাস দেন সব রকমের সাহায্যের।
উত্তরকাশীর ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওর মধ্যে পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। ১২ অক্টোবর হঠাৎ ধস নামলে সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন শ্রমিকেরা। ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে আছেন বাংলার তিন জনও। হিমালয়ের ভঙ্গুর ভূপ্রাকৃতিক গঠনের জন্য উদ্ধারকাজে এত সময় লাগছে বলে দাবি প্রশাসনের।