প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: সুব্রত
২৪ অগস্ট রাজভবনের সামনে উদ্ভ্রান্ত এক যুবকের দেখা পেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সায়ন কর্মকার। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ একটি কলেজ থেকে ফটোগ্রাফি নিয়ে কোর্স করেন সায়ন। তার পর ২০২৩ সালে ডিআরডিও-র ফটোগ্রাফারের পদের জন্য আবেদন করেন। চাকরির পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশও করেন। কিন্তু নথি যাচাইয়ের সময় ফাঁপরে পড়লেন ২৩ বছরের সায়ন। তিনি যে ওই কোর্সে পাশ করেছেন তার কোনও শংসাপত্র নেই। কারণ মে মাস থেকে উপাচার্য নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই শংসাপত্রে সই করার কেউ নেই। তার পর থেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের দোরে দোরে ঘুরছেন সায়ন। কেউ যদি তাঁর শংসাপত্রের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। সেই আবেদন নিয়েই এসেছিলেন রাজভবনে। সুবিধা হয়নি। আনন্দবাজার অনলাইন সেই খবর করার পরে সাড়া মিলল। মঙ্গলবার সায়নের সঙ্গে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু উপাচার্য, সহকারী উপাচার্য অথবা ডিন অফ স্টুডেন্টস-এর পদ ফাঁকা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। একই কারণে কথা বলতে চাননি রেজিস্ট্রারও।
গল্পের মোড় ঘুরল এর পরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েই রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে। কথা বলিয়ে দেওয়া হয় সায়নের সঙ্গেও। অবশেষে রাজভবনের তরফ থেকে মিলল আশ্বাস। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন সফল হবে সায়নের? ডিআরডিও-র চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন?