প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ: সুব্রত
একুশের নির্বাচনের পর সংযুক্ত মোর্চার বন্ধুদের ‘মানসিক আক্রমণ’। খাতায়কলমে বিধানসভা ভোটের জোট পঞ্চায়েতে নেই। তবে ‘গ্রাম সরকার’ গঠনের লড়াইয়ে আসন সমঝোতায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এবং বাম। বিধানসভায় রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকারে জানালেন, “একুশের নির্বাচনের পর শাসকের নিন্দা তো ছিলই, কিন্তু মোর্চার মধ্যে থাকা বন্ধুরা যে ভাবে মানসিক আক্রণ করেছে, তা কাম্য ছিল না। বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যস্তরে আইএসএফ এবং বামেদের মধ্যে কোনও জোট হয়নি। বুথস্তরের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করেছেন। আমরা এই অলিখিত জোটে কোনও বাধা দিইনি।” তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ৫,০০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। আর তার জন্য নওশাদ দুষলেন রাজ্যের শাসককেই। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের ভয়ে তাঁদের অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আসতে হয়েছে। নওশাদ বলেন, “শহরের বাবুদের চেয়ার ঠিক রাখতে গ্রামের মানুষ জীবন দিয়ে দিচ্ছেন। শাসক ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে মুসলমানদের দল বলে দেগে দিয়েছিল। যার ফলে মুসলিম নয় এমন ভাইবোনেরা আমাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। এখন যত সময় যাচ্ছে, ছবিটা পরিষ্কার হচ্ছে।” সম্প্রতি নওশাদের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে নওশাদের পাল্টা, আইএসএফের সঙ্গে বিজেপির কখনই কোনও ক্ষেত্রেই জোট হবে না। বরং বিজেপি বিরোধিতায় তিনি মনে করাবেন আফরাজুলের কথা, ভুলবেন না দলিত সন্তান রোহিত ভেমুলাকেও।