বারুইপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সৌরভ অসুস্থ বাবাকে আর কাজ করতে দিতে চাইতেন না। নানা কাজকর্ম করে উপার্জনের চেষ্টা করতেন। এই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুতে একটি কেটারিং সংস্থায় কাজের সুযোগ আসে। পড়াশোনা ছেড়ে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সৌরভের একমাত্র দিদির বাড়ি বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। জামাইবাবু বিশ্বনাথ চক্রবর্তী পুরোহিতের কাজ করেন। তাঁকেও ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়ার ব্যাপারে রাজি করান সৌরভ। শুক্রবার সকালে তাঁরা বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। কাজে যাওয়ার পথেই শুক্রবার রাতে বালেশ্বরের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বারুইপুরের ধপধপি-২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিকপুর রায়পাড়ার বাসিন্দা সৌরভ রায়ের। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সৌরভের জামাইবাবু বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর খোঁজ মেলেনি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।