প্রতিবেদন: প্রচেতা, রিঙ্কি, সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সৈকত
সাল ২০১১। বাংলায় পরিবর্তন। ৩৪ বছরের বাম আমল দুরমুশ করে মসনদে মমতা। সে বার তৃণমূলের জয়ে বোঝাপড়ার ‘হাত’ ছিল কংগ্রেসের। রাজ্যের বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, মমতাকে ক্ষমতায় আনতে ‘পরোক্ষ’ মদত ছিল বিজেপিরও। লোকসভা ভোটের আগে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী এসে বলে গিয়েছিলেন লাড্ডুর ‘দ্বি-তত্ত্ব’। কেন্দ্রে মোদী, রাজ্যে মমতা! যদিও সিপিএমের ‘সেটিং তত্ত্ব’কে নস্যাৎ করে দিয়ে ২০১৪ সালেই ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করে পরিবর্তনের পরিবর্তন চেয়েছিলেন অমিত শাহ। হাওয়া বদলের ভোটে ফলও হল অভূতপূর্ব। লোকসভায় বিয়াল্লিশে আঠারো, আর বিধানসভায় বিজেপি ৩ থেকে এক ধাক্কায় ৭৭। এক দশক পর আবার সেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই শাহি সভা। এ বার লক্ষ্য আরও বেশি। সভা মঞ্চ থেকে ৩৫ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আরও একধাপ এগিয়ে অমিত শাহ বলে গেলেন, “এত আসনে বিজেপিকে জেতান, যেন নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার আগে বলেন বাংলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী হলেন।” রাজ্যের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে এ দিন সীমান্তে অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, কাটমানি এবং ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন শাহ। একই সঙ্গে নিজেদের ঘোষিত নীতি সিএএ লাগু করার পক্ষেও আরও একবার সুর চড়িয়ে গেলেন তিনি।