বদল তো চাই-ই সঙ্গে বদলাও! বুধবার রাজ্য বিজেপির প্রতিবাদ সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হুঙ্কার, “আমাদের দলের কার্যকর্তারা ভাইয়ের থেকেও বেশি আপন। রাজনৈতিক হিংসায় বাংলায় ২১২জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বদলা হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই বদলা হবে।” একই সঙ্গে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দল থেকে বহিষ্কার করারও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গেলেন শাহ। অমিতের দাবি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। আর তারপরই ‘বদলা’। ভোট বাক্সে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বদলার কথা বলেন অমিত শাহ। বাংলার মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, “বিধানসভার আগে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি আসনে বিজেপিকে জেতান।” নিজের বক্তব্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলা থেকে ৩৫টি লোকসভা আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করেন। পরে ভাষণ দিতে এসে ঠিক একই লাইনে অমিত শাহ বলেন, “এত আসনে জেতান, শপথের পর নরেন্দ্র মোদী যেন বলেন বাংলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছি।” নাতিদীর্ঘ বক্তৃতায়, তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও সরব হন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তোষণ, দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ এবং রাজনৈতিক হিংসার মতো বিষয়গুলোকে সামনে রেখে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “যে বাংলায় এক সময় সকালে রবীন্দ্রনাথের গান শোনা যেত, এখন সেখানে বোমার শব্দ গমগম করে।” কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ অস্বীকার করে অমিত শাহের বক্তব্য, “দেশের ৬০ কোটি গরিবের জীবন পাল্টে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠালেও তৃণমূল তা মানুষের কাছে পৌঁছতে দেয় না।” বক্তব্যের শেষে নাগরিকত্বের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অমিত শাহ বলেন, তাঁরা সিএএ লাগু করবেনই।