সেই ’৭৮ সালে লেখেন সত্যজিৎ রায়। ওসাকার গবেষণাগারে বিশ্ববিখ্যাত সাত বিজ্ঞানীকে নিয়ে প্রফেসর শঙ্কু বানিয়ে ফেলেন ফুটবলের দেড়গুণ আয়তনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক কম্পিউটার। নাম তার ‘কম্পু’।
প্রাক্-গুগল দুনিয়ায় শঙ্কুর কম্পুই ছিল বিশ্বকোষের প্রতিস্থাপক। পঞ্চাশ কোটি প্রশ্নের জবাব কম্পুর ঠোঁটস্থ। টনটনে বিবেচনাবোধ। জমিয়ে ব্রিজ বা দাবা খেলতে পারত। ভালমন্দ বিচার করতে পারত গানের সুরের। তবুও কম্পুকে কল্পবিজ্ঞানের চৌহদ্দিতেই বেঁধে রাখেন সত্যজিৎ। বছর পঞ্চাশের মধ্যেই যে তা সাদা পাতা ছেড়ে বাস্তবে উঠে আসবে, কে জানত!
বিশ্বের ইতিহাস বলে, কোনও নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ার পর তা ভাল এবং খারাপ— দু’ভাবেই ব্যবহার হয়। উদাহরণ, পরমাণু শক্তি। চ্যাটজিপিটি এআই-ও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এই প্রযুক্তির লাগামছাড়া ব্যবহার ডেকে আনতে পারে বিরাট বিপদ। কারণ চ্যাটজিপিটি এআইয়ের প্রধান বিষয় হল, যে তথ্যভান্ডার তাকে জোগানো হচ্ছে তা যতটা সমৃদ্ধ এবং সঠিক হবে, এআই ততই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।