অযোধ্যা। কাশী। মথুরা। এ বার সম্ভল। মন্দির না কি মসজিদ। বিতর্কের অন্ত নেই। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে বাবরি মসজিদ রাম মন্দির বিতর্কের সুরাহা হয়। আইনি লড়াই চলছে মথুরার শাহি ইদগা, কাশীর জ্ঞানবাপী এবং সম্ভলের জামা মসজিদ নিয়ে। উত্তরপ্রদেশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে। ভোজশালা আর অজমের শরিফে। সরস্বতী মন্দির ভেঙে না কি তৈরি কামাল মওলা মসজিদ, বিতর্ক ভোজশালায়। একই রকম বিতর্ক অজমেরেও। হিন্দু সেনার দাবি, খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তির দরগা শিব মন্দিরের উপর তৈরি। যা অস্বীকার করেছে দরগা কর্তৃপক্ষ। উত্তরপ্রদেশের এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানেও। মন্দির-মসজিদ বিতর্কে টানাপড়েন চলছে ভোজশালা এবং অজমেরেও। সরস্বতী মন্দির ভেঙে না কি তৈরি কামাল মওলা মসজিদ, বিতর্ক ভোজশালায়। বিতর্ক দানা বেঁধেছে অজমেরেও। হিন্দু সেনার দাবি, খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তির দরবার না কি শিব মন্দিরের উপর তৈরি। যা অস্বীকার করেছে দরগা কর্তৃপক্ষ।
সাল ১৯৯১। তখনও বাবরি ঘটেনি। ক্ষমতায় কংগ্রেস। দেশ চালাচ্ছেন পিভি নরসিমা রাও। সংসদে পাশ হয় ধর্মীয় উপসনাস্থল আইন। মন্দির-মসজিদ বিতর্কের স্থায়ী সমাধানে তৈরি হয় আইন। আইনে বলা হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট, অর্থাৎ স্বাধীনতার পর ধর্মীয় উপাসনাস্থলের কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। উপাসনাস্থলের চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখার ভাবনা থেকে বলবৎ হয় ‘দ্য প্লেস অব ওয়ারশিপ অ্যাক্ট’। আইন তৈরির পরের বছরই ভারতের বুকে বাবরির ক্ষত। ২০২৪ সালে তৈরি হয় রামমন্দির। রাজনীতির অঙ্কে আজও যোগ-বিয়োগ চলছে দেশের একাধিক ধর্মীয় উপসনাস্থল নিয়ে।