এই শীতে বেড়ানোর পরিকল্পনা করার আগে দেখে নিন কোন কোন রাজ্যগুলিতে কেমন নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
গত ১ নভেম্বর থেকে ভারতের বেশিরভাগ রাজ্য ভ্রমণ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে। তবে এখনও কয়েকটি রাজ্য কোভিড সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক। কিছু নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রেখেছে। ফলে বাকি রাজ্যেগুলির তুলনায় সেই রাজ্যগুলিতে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই শীতে বেড়ানোর পরিকল্পনা করার আগে দেখে নিন কোন কোন রাজ্যগুলিতে কেমন নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে।
কর্ণাটক: মহারাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের কারণে কর্ণাটক সরকার সম্প্রতি রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে বিশেষ করে মুম্বাই থেকে কেউ এই রাজ্যে বেড়াতে এলে, বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। মুম্বই তো বটেই অন্য কোনও রাজ্য থেকে বেড়াতে এলেও করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক
পশ্চিমবঙ্গে আগত সমস্ত বিমান যাত্রীদের অবশ্যই করোনা টিকার শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। ছবি: সংগৃহীত
অসম:যাঁদের করোনার দু’টি টিকাই সম্পূর্ণ হয়েছে, অসমে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের আর করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট বা করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামুলক নয়। নভেম্বর থেকেই আসাম কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ:পশ্চিমবঙ্গে আগত সমস্ত বিমান যাত্রীদের অবশ্যই করোনা টিকার শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনার নেগেটিভ রিপোর্টও থাকতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে সপ্তাহে তিনদিন পুণে, নাগপুর, এবং আহমেদাবাদ থেকে আগত সমস্ত বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য।
গুজরাট:গুজরাট ভ্রমণের ক্ষেত্রেও আরটিপিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ শংসাপত্র থাকতে হবে।
উত্তরাখন্ড:২০ নভেম্বর থেকে করোনাভাইরাস জনিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে উত্তরাখন্ড সরকার। কোনও কোনও জেলায় প্রবেশের আগে পর্যটকদের স্মার্ট সিটি নামক ওয়েব পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এর পাশাপাশি করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকাও বাধ্যতামূলক।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এখনও করোনার বিধিনিষেধ বহাল আছে। পর্যটকদের করোনার দু’টি টিকার শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।