প্রতীকী ছবি।
সবে উত্সবের মরসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই ছুটির আমেজ কাটাতে মন চাইছে না কারও। সারা বছর বাড়িতে বসে থেকে ক্লান্ত হয়ে উঠেছেন সকলে, এই ছুটির আমেজকে তাই নষ্ট হতে দিতে চান না কেউই। কিছু দিনের জন্য বেড়িয়ে আসার ইচ্ছে হওয়াই স্বাভাবিক।
অনেকে আবার লম্বা ছুটি নিয়ে ঘুরতে চলে যান দূরে কোথাও। প্লেনে করে সহজেই উড়ে যান পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ছুটির ভরপুর আনন্দে, উত্তেজনায় মাথাতেই থাকে না দীর্ঘ যাত্রার ঝক্কির কথা। দীর্ঘ ক্ষণের যাত্রায় সময়রেখা (টাইমজোন) পেরিয়ে যান তাঁরা। সতর্ক না থাকায় সেই যাত্রার এবং সময়রেখা বদলের চাপ পড়ে শরীরের উপর। ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের, সেই থেকে জাঁকিয়ে বসে ক্লান্তি। কিন্তু একটু সতর্ক থাকলেই এই চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারবেন সকলে।
প্রতীকী ছবি।
আগে থেকেই ঘুমের সময় মানিয়ে নিন
যাওয়ার দিন চারেক আগে থেকেই ঘুমোতে যাওয়ার সময়কে গন্তব্যের সময়রেখা অনুযায়ী এগিয়ে বা পিছিয়ে দিন। সময়রেখা পাল্টালে নতুন ঘুমের রুটিন অনুযায়ী মানিয়ে নিতে সময় লাগে শরীরের। ঘুমের ব্যাঘাত যাতে না হয় তার জন্যে শরীরকে আগে থেকেই প্রস্তুত করুন।
পৌঁছে চেষ্টা করুন স্থানীয় সময়রেখা অনুযায়ী চলতে
পৌঁছনোর পর থেকে চেষ্টা করুন স্থানীয় রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যদি আপনি সকালে পৌঁছন, তা হলে চেষ্টা করুন প্লেনেই যতটা সম্ভব ঘুমিয়ে নেওয়ার। বা রাতে পৌঁছলে, চেষ্টা করুন প্লেনে না ঘুমিয়ে গন্তব্যে গিয়ে ঘুমোনোর।
কম দিনের জন্য বেড়াতে গেলে রুটিন বদলাবেন না
যদি আপনি মাত্র দু’দিনের জন্য যান, তা হলে চেষ্টা করুন নিজস্ব রুটিন মেনেই দিন কাটানোর। কারণ যত ক্ষণে আপনার শরীর ওখানের রুটিনের অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তত ক্ষণে আপনার ফেরার সময় চলে আসবে।
রোদে বেরোনো নিয়ে সতর্ক থাকুন
যদি আপনার গন্তব্য আরও পূর্ব দিকে হয়, তা হলে ওখানে পৌঁছনোর পর যতটা নিয়ন্ত্রিত ভাবে রোদ গায়ে লাগে আপনার, ততই ভাল। রোদের পারদ খুব বেশি হয়ে গেলে ওখানকার সময়রেখার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আপনার সমস্যা হতে পারে। যাতে ঘুমের সময়ের সঙ্গে আপনার শরীর সামঞ্জস্য রাখতে পারে নতুন জায়গাতেও।
দিনের শুরুতে কসরত করুন
একটা সময়রেখা থেকে অন্য সময়রেখায় গেলে শরীরের উপর ধকল পড়বেই। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে নতুন দিনের শুরুতে চেষ্টা করুন কিছু কসরত করার। গরম জলে স্নান এবং কিছু হাল্কা কসরত খুবই কার্যকর হতে পারে। এতে শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে, যার ফলে স্বাভাবিক ছন্দে আসতে পারবে আপনার শরীর।