রোজ কেন গার্গল করা জরুরি? ছবি: শাটারস্টক।
কোভিডকালে যে দাওয়াইয়ের উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছেন মানুষ তা হল নুন-জলে গার্গল। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছিল কোভিড থেকে বাঁচতে হলে টিকার পাশাপাশি নুন-জলে গার্গল করাই সবচেয়ে কার্যকর। এই পন্থায় ভরসা রেখে উপকারও পেয়েছেন মানুষ। তবে কোভিডের পর এই দাওয়াইয়ের কথা মনে রেখেছেন ক’জন? কেবল ঠান্ডা লাগা দূর করতেই নয়, নুন-জলে গার্গল করার আরও অনেক উপকার আছে। বসন্তের মরসুমে রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতে এই দাওয়াই বেশ কার্যকর। জেনে নিন, ঠান্ডা না লাগলেও কেন দিনে অন্তত এক বার গার্গল করা উচিত।
১) শরীরে পিএইচের ভারসাম্য ঠিক থাকে
গলায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলির কারণে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। কিন্তু এই সব কিছুই আটকানো সম্ভব, যদি নিয়মিত নুন-জল দিয়ে গার্গল করা হয়। এমনটা করলে অ্যাসিডের প্রভাব কমতে থাকে। ফলে পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে, যে কারণে গলায় উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
২) টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমবে
মাঝেমাঝেই কি টনসিলের যন্ত্রণায় কষ্ট পান? তা হলে নিয়মিত নুন-জল দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস করুন। ব্যাক্টেরিয়া অথবা ভাইরাল সংক্রমণের কারণেই টনসিলে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে যন্ত্রণা শুরু হয়। নুন-জলে গার্গল করলে জীবাণুগুলি ধ্বংস হয়। ফলে টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমে।
৩) মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়
মূলত দু’টি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আর শরীরে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে একই ধরনের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই দুই ক্ষেত্রেই ঈষদুষ্ণ নুন-জলে গার্গল দারুণ কাজে আসে।
৪) ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে
কেবল মরসুম বদলের সময়েই নয়, দূষণের কারণেও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়। দিনে তিন থেকে চার বার নুন-জল দিয়ে গার্গল করলেই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। সঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ফুসফুসের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
৫) দাঁতের সমস্যা দূর হয়
নুন-জলে নিয়মিত গার্গল করে দাঁতের ক্ষয় আটকাতে পারেন। নুনে থাকে বেশ কিছু খনিজ, যা দাঁতের জন্য উপকারী। সেই সঙ্গে দাঁতের একেবারে উপরের স্তর, এনামেলের ক্ষতিও রোধ করে, সে দিকেও নজর রাখে। দাঁতের ব্যথা হলেও এই টোটকা মেনে চললে আরাম মেলে।