সপ্তাহান্তে কোথায় যাবেন পুরুলিয়া না তাজপুর? ছবি: সংগৃহীত।
অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তাই মনটা কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে রয়েছে। এ দিকে পুজোর আগে বড় ছুটি নেওয়া যাবে না। শহরের কোলাহল, প্যাচপ্যাচে কাদা, যানজট থেকে যে দূরে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে থাকবেন, তার উপায় নেই। ছুটি পাবেন না বলে কোথাও ঘুরতে যাবেন না এ তো হতে হতে পারে না! শহরের আশপাশে এমন অনেক গন্তব্য রয়েছে, সপ্তাহে দু-তিনটে দিন যেখানে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেওয়া যায়। তেমন তিনটি জায়গার সন্ধান দেওয়া হল এখানে।
১) তাজপুর নেচার ক্যাম্প
শুক্রবার অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসপ্ল্যানেড চত্বর থেকে দিঘাগামী বাসের টিকিট কেটে সোজা চলে যান তাজপুর। নিজের গাড়ি থাকলে আরও ভাল। সমুদ্রের শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে ক’টা দিন গা ভাসিয়ে দিতেই পারেন। মাটির বাড়ির জানলা, উঠোন থেকে বর্ষার সমুদ্র দেখতে চাইলে থাকতে হবে তাজপুর নেচার ক্যাম্পে। দ্বিশয্যা বিশিষ্ট নন-এসি ঘরের ভাড়া ১০০০ টাকা। খাওয়ার খরচ আলাদা। সমুদ্রের টাটকা মাছ আর খোলা হাওয়া মন ভাল করার জন্য যথেষ্ট। তবে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণিতে সব সময়েই পর্যটকদের ভিড় থাকে। তাই আগে থেকে বুকিং করে না রাখলে ভাল জায়গা পাবেন না। ইন্টারনেট, ফেসবুকের দৌলতে কোনও হোটেলেরই খোঁজ পেতে অসুবিধে হবে না।
২) মহেশগঞ্জ এস্টেট বালাখানা
২০০ বছরের পুরনো নীলচাষের ইতিহাস নিয়ে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে নদিয়া জেলার মহেশগঞ্জ এস্টেট। ১৬ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল এই রাজবাড়ি। পুরনো দিনের আসবাব, বড় বড় খিলান দেওয়া দরজা, তেমন বিশাল বিশাল ঘরে থাকতে মন্দ লাগবে না। এমন একটি প্রাসাদে থাকার খরচ দিনে ৩৫০০ টাকা থেকে ৪৫০০ হাজার টাকা। সঙ্গে থাকবে সকালের জলখাবার। চাইলে জলঙ্গী নদীতে নৌকাবিহারও করতে পারেন। ফেরার পথে নদীয়ার সরভাজা, সরপুরিয়া আর নবদ্বীপের ক্ষীরদই কিনতে ভুলবেন না। এসপ্ল্যানেড থেকে নিত্য দিনই বাস ছাড়ে। চাইলে ট্রেনে করে কৃষ্ণনগর নেমে, সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছতে পারেন বালাগড়। ফেসবুকে, ইন্টারনেটে খুঁজলেই ফোন নম্বর, ঠিকানা পাওয়া যাবে।
৩) পলাশবাড়ি ইকোলজিক্যাল রিসর্ট
পুরুলিয়ার বরন্তী লেকের ধারে নির্জনে কয়েকটা দিন কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পলাশবাড়ি ইকোলজিক্যাল রিসর্ট থেকে। বর্ষায় পুরুলিয়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে গেলে থাকতে হবে এই রিসর্টে। এই রিসর্টের চত্বর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১৬০০ পলাশ গাছ। এই সময়ে পলাশ ফুলের দেখা না পেলেও প্রকৃতির আরও এক রূপ দেখতে পাবেন এখানে। স্থানীয় দ্রষ্টব্য স্থানগুলি ঘোরা, থাকা এবং খাওয়ার প্যাকেজ শুরু হচ্ছে ২৫০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে। গাড়িতে পুরুলিয়া যেতে অনেক ক্ষণ সময় লাগে। তাই হাওড়া থেকে ট্রেনে যাওয়াই ভাল। রাতে ট্রেনে উঠে পরের দিন সকালে পৌঁছে যাওয়া যায়।ফেসবুকে, ইন্টারনেটে খুঁজলেই ফোন নম্বর, ঠিকানা পাওয়া যাবে।