বরফ পড়া দেখতে চান? ছবি- সংগৃহীত
বরফ পড়া নিয়ে বাঙালির উন্মাদনার শেষ নেই। শীতে বাঙালি বাঁদর টুপি পরে, কম্বল চাপা দিয়েও বরফ পড়া দেখতে পাহাড়ে ছোটে। বরফ পড়া দেখতে গেলেই যে বিদেশে ছুটতে হবে, তার কিন্তু কোনও মানে নেই। দেশের মধ্যেই রয়েছে সিকিম। যেখানে গেলেই আপনি এই মরসুমে গুঁড়ো গুঁড়ো বরফ পড়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস জুড়েই কিন্তু সিকিমে বরফ পড়ে। বরফ পড়া দেখতে গেলে কোন কোন জায়গায় আগে থেকে বুকিং করে রাখা প্রয়োজন, জানেন?
লাচুং গ্রাম
তিব্বতের সীমান্তে পাহাড়ি গ্রাম লাচুং। যাঁরা নির্জনতা পছন্দ করেন, তাঁদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা এই লাচুং। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পুরু বরফের চাদরে ঢাকা থাকে এই গ্রাম। রডোডেনড্রন ভ্যালি ট্রেক করতে গেলে এই গ্রাম থেকেই হাঁটা শুরু হয়। এখানে সব সময়েই ঠান্ডা থাকে। তাই চট করে ঠান্ডা লাগার ধাত আছে যাঁদের, তাঁরা অবশ্যই গরম পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক হবেন।
নির্জনতা পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা এই লাচুং। ছবি- সংগৃহীত
কী ভাবে যাবেন?
গ্যাংটক থেকে লাচুংয়ের দূরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি নেমে গাড়িতে সিকিম পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। এখানে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের এবং দামের হোমস্টে রয়েছে। তবে বরফ পড়া দেখতে গেলে অনেক আগে থেকেই বুকিং করে রাখতে হবে।
থাঙ্গু ভ্যালি
সিকিমের মঙ্গন জেলায় অবস্থিত থাঙ্গু সমুদ্র থেকে ৪ হাজার ফুট উঁচুতে। বরফাবৃত পাহাড়ের উপত্যকা দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীর সৌন্দর্যই পর্যটকদের আকর্ষণের প্রধান কারণ। এমনি সময়ে ঠান্ডা থাকলেও ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই এখানে বরফ পড়ে। আলাদা করে থাকার প্রয়োজন নেই। চাইলে গ্যাংটক থেকেই ঘুরে, ফিরে আসতে পারেন। লাচুং গ্রামে থাকলে অবশ্য সুবিধাই হবে।
নাথুলা পাস
ভারত-চিনের সীমান্তে অবস্থিত নাথুলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। পুরো ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস জুড়েই এখানে এত বরফ পড়ে, যে একটা সময় মানুষের আনাগোনা বন্ধ করে দিতে হয়। গাড়ি চলাচলের অবস্থা একেবারেই থাকে না। সকাল সকাল গ্যাংটক বা লাচুং থেকে বেরিয়ে ঘুরে ফিরে আসা যায়। তবে যে দিন যাবেন, আর অন্য কোনও পরিকল্পনা করবেন না। কারণ, যে কোনও সময়েই বরফ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।