কেবল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাই নয়, কোন স্থানে ঘোরার রোমাঞ্চ মনের কোঠায় রয়ে যাবে সারা জীবন? ছবি: সংগৃহীত
কারও কাছে শীত মানে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুম। আর কারও কাছে শীত মানে লম্বা ভ্রমণের পরিকল্পনা। আর এই ছুটিতে টাটকা বাতাস বুকে ভরে নেওয়ার জন্য অনেকেই চান কোথাও একটু ঘুরে আসতে। কাজের মাঝে একটু বিরতি নিয়ে ঘুরে আসতে ক্ষতি কি? ভারতের এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে ৩০ পেরোনোর আগেই যাওয়া ভাল।
একটি তালিকা বানিয়ে ফেলুন যেখানে ৩০-এর আগে যেতেই হবে। কেবল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাই নয়, এই সব স্থানে ঘোরার রোমা়ঞ্চ মনের কোঠায় রয়ে যাবে সারা জীবন। চেরাপুঞ্জির লিভিং রুট ব্রিজে হাঁটা থেকে শুরু করে বাইকে চেপে লাদাখ ভ্রমণ, হিমালয়ের ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স থেকে ওড়িশায় সার্ফিং করা ভারতের নানা প্রান্তে অপেক্ষা করছে নানা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে আপনার তালিকায় থাকতে পারে কোন তিন গন্তব্য, রইল তার হদিস।
হিমাচলপ্রদেশের আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে সোলং ভ্যালি অন্যতম। ছবি: সংগৃহীত।
সোলং ভ্যালি: হিমাচল মানেই সিমলা, কুলু, মানালি নয়। মানালি থেকে লেহ-মানালি হাইওয়ে ধরে রোটাং পাস যাওয়ার পথে ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সোলাং ভ্যালি। হিমাচলপ্রদেশের আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। সমুদ্রতল থেকে ৮ হাজার ৪০০ ফুট উঁচুতে এর অবস্থান। রোটাং পাস খোলা থাক বা না থাক, ফেরাবে না সোলাং ভ্যালি। সব সময়ে জমজমাট থাকে এই উপত্যকা। কুলু জেলার সোলাং ভ্যালি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে ঘন জঙ্গলের মাথার উপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করে ডানা মেলে পাখির মতো ওড়ার মজাই আলাদা! এ ছাড়াও রয়েছে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং করার সুযোগ।
কুর্গের শরীর জুড়ে সবুজের আধিক্য এবং কাবেরীর স্পন্দন। ছবি: সংগৃহীত।
কুর্গ: পশ্চিমঘাট পর্বতের ঢালে কোদাগু জেলায় পাহাড়ঘেরা এক অনন্ত স্বপ্নের, যার নাম কুর্গ। তার শরীর জুড়ে সবুজের আধিক্য এবং কাবেরীর স্পন্দন। ইদানীং টুরিস্ট স্পট বাছতে গিয়ে বাঙালি কর্নাটকের এই মনোরম জায়গাটিতে একটু বেশিই টিকমার্ক বসাচ্ছে। উঁচু-নিচু পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, বিরামহীন ছোট-ছোট ঝর্না, নদী, একরের পর একর জমিতে কফি চাষ— শহুরে কোলাহলের বাইরে যেন এক টুকরো স্বর্গ। মিলবে রিভার রাফটিং, জ়িপলিং, ট্রেকিং ও কায়াকিং-এর সুযোগ।
নন্দী পাহাড়ে রয়েছে টিপুর স্মৃতিবিজড়িত দুর্গ। ছবি: সংগৃহীত।
৩) নন্দী পাহাড়: বেঙ্গালুরু থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে নন্দী পাহাড়ে টিপু সুলতানের গ্রীষ্মকালীন আবাস ছিল। এখনও এখানে রয়েছে টিপুর স্মৃতিবিজড়িত দুর্গ। পাশাপাশি, এখানে রয়েছে সুপ্রাচীন নন্দীশ্বরের মন্দির। নন্দী পাহাড়কে কেন্দ্র করে এখন ট্রেকিং, বাইকিং ও প্যারাগ্লাইডিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে এই স্থান আদর্শ আপনার জন্য। ক্যাম্প করে থাকার ব্যবস্থাও আছে।