তিরুপতির মন্দির এ বার কলকাতাতেই। ছবি: শাটারস্টক।
রথযাত্রা মানেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। আর শহর কলকাতার দুর্গাপুজো নিয়ে সবসময়ই মানুষের মধ্যে থাকে বাড়তি উত্তেজনা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, চোখধাঁধানো মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমা ও আলোকশিল্প তাক লাগিয়ে দেয় দর্শনার্থীদের। আর শহরের সেই প্রথম সারির পুজোগুলির তালিকায় বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই উপরের দিকে রয়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব।
এ বছর ৫২-এ পা দেবে শ্রীভূমির দুর্গাপুজো। বিগত বছরগুলির মতো এ বারেও গোটা শহরের ভিড় টানতে শ্রীভূমি নিয়ে আসছে নতুন এক থিম। এ বছর শ্রীভূমির মণ্ডপ তৈরি করা হবে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে। ইতিমধ্যেই উদ্যোক্তাদের তরফে তা ঘোষণাও করে দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার লড়াই। তার জন্য প্রচেষ্টার খামতি রাখছেন না মণ্ডপনির্মাতা থেকে ক্লাবকর্তারা।
কথিত, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেবতা হলেন তিরুপতি বালাজি। তেলেগু ভাষায় ‘তিরু’ কথার অর্থ শ্রী বা লক্ষ্মী, অর্থাৎ লক্ষ্মীর পতি বা তিরুপতি। অনেকে তাঁকে গোবিন্দা, বিষ্ণু, লর্ড বালাজি কিংবা লর্ড ভেঙ্কটেশ নামে ডেকে থাকেন। এখানে ভক্তি, বিশ্বাস আর মনোরম প্রকৃতির এক অপরূপ মেলবন্ধন দেখা যায়। বালাজির কাছে কিছু মানত করলে তা পূরণ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস। তাই তো হতদরিদ্র থেকে কোটিপতি, বিনোদন দুনিয়ার তারকা থেকে রাজনীতিবিদ, সকলেই এই মন্দির দর্শনের জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসেন। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলায় তিরুমালার শিখরে তিরুপতি বালাজির মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিজয়নগরের রাজা শ্রীকৃষ্ণ দেবরায়।
প্রসঙ্গত, গত বিগত কয়েক বছরে একের পর এক অভিনব থিম এনে পুজোপ্রেমী মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। কখনও ডিজ়নিল্যান্ড, কখনও বুর্জ খলিফা, কখনও ভ্যাটিকান সিটি, আবার কখনও ‘বাহুবলী’ থিম দর্শনার্থীদের স্রোতকে করেছে শ্রীভূমিমুখী। এ বারেও তাঁরা মানুষের একই রকম সাড়া পাবেন বলে আশা ক্লাবকর্তাদের।