জঙ্গলে যাওয়ার আগে দেখে দিন এই সফরে কী কী প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
নেটফ্লিক্সে ‘রণবীর ভার্সেস ওয়াইল্ড উইথ বিয়ার গ্রিলস’— এর সম্প্রচার শুরু হয়েছে ৮ জুলাই থেকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রণবীর অতি দুর্গম জঙ্গলের পথে পাড়ি দিচ্ছেন। লতাপাতা, কীটপতঙ্গ, ঝর্না— স্বস্তির বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে রণবীরের এখন এ সবই ভরসা। এই বর্ষায় রণবীরের সঙ্গে জঙ্গলে পাড়ি দিতে পারেন আপনিও। ভারত হোক বা ভারতের বাইরে— জঙ্গলে যাওয়ার আগে কিছু আলাদা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। কারণ জঙ্গেলের পথ সমতলের মতো সহজ সরল নয়। বরং দুর্গমই বলা চলে। জঙ্গলে যাওয়ার আগে দেখে দিন এই সফরে কী কী প্রয়োজন?
রুকস্যাক
জঙ্গল বা পাহাড়ে গেলে রুকস্যাক লাগবেই। তবে রুকস্যাক কেনার আগে দেখে নেবেন তা যেন হালকা হয়। স্লিপিং ব্যাগ, ম্যাট, জঙ্গলে হাঁটার সময় প্রয়োজনীয় লাঠি এবং আরও অন্যান্য কয়েকটি জিনিস যাতে একটি ব্যাগে ধরে যায় দেখেশুনে তেমনই ব্যাগ কিনুন। ব্যাগটি ‘ওয়াটার প্রুফ’ কি না সেটিও দেখে নেবেন।
বেল্ট ব্যাগ
এখন অনেক জায়গায় কার্ড নিলেও জঙ্গলের বিভিন্ন কিছু দেখতে টাকা লাগে। ফলে শুধু কার্ড ব্যবহার না করে একটি বেল্ট ব্যাগে কিছু টাকা রেখে দিলে আখেরে সুবিধেই হবে।
বাইনোকুলার
জঙ্গল যাচ্ছেন আর বাইনোকুলার সঙ্গে রাখবেন তা হয় নাকি! দূরের গাছে বসে থাকা কোনও প্রাণী বা নদীর চরে শুয়ে থাকা কুমির— জঙ্গল উপভোগ করতে বাইনোকুলার দরকার।
জুতো ও হালকা জামা
জঙ্গল দেখার আগে বেশ কয়েকটি স্তরে পোশাক পরুন। পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, বিষাক্ত গাছ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মোটা স্তরের পোশাক পরা প্রয়োজন। যেহেতু অনেকগুলি পরছেন ফলে পোশাকগুলি যেন হালকা-পাতলা হয়, না হলে গরমে অস্বস্তি হতে পারে। পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গলে সফরে জুতোও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চামড়ার পা ঢাকা মোটা সোলের জুতো পরুন। এবং অবশ্যই তা যেন ওয়াটার প্রুফ হয়।
টর্চ
পর্যটকদের রাতে জঙ্গলে ঘোরার অনুমতি সাধারণত দেওয়া হয় না। কিন্তু গভীর জঙ্গলে দিনের বেলাতেও নেমে আসতে পারে অন্ধকার। অচেনা গহিন অরণ্যে পথ চিনতে সব সময় সঙ্গে রাখুন টর্চ।
শুকনো খাবার
জঙ্গলে বেড়ানোর সময় সঙ্গে রাখুন শুকনো খাবার ও জলের বোতল। জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে অনেক সময় ক্লান্ত লাগতে পারে। সেই মুহূর্তে জিরিয়ে নিতে জল ও শুকনো খাবার খেয়ে নিন। এতে নতুন করে উদ্যম পাবেন।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক
জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে কখন সময় পার হয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না। এ দিকে মোবাইলে ছবি তুলতে গিয়ে বা অন্য কোনও কারণে মোবাইলের চার্জও প্রায় তলানিতে। সেই সময় সঙ্গে পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকলে অন্তত কিছু ক্ষণের জন্য মোবাইলটি ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারবেন।