জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি মূলত পর্যটন শিল্পের উপরই নির্ভরশীল। ছবি : সংগৃহীত
দু’বছরের কঠিন সময় পেরিয়ে, এ বছর জম্মু এবং কাশ্মীরে প্রায় এক কোটি ৬২ লক্ষ পর্যটকের পা পড়েছে। যা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সর্বাধিক।
শুধু অতিমারি নয়, কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিবেশও এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি মূলত পর্যটন শিল্পের উপরই নির্ভরশীল। পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ভূস্বর্গের অর্থনীতি, বিভিন্ন কারণেই গত কয়েক দশক ধরেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল।
পর্যটনের হাত ধরে পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন অংশে কর্ম সংস্থানেও জোয়ার এসেছে। ছবি : সংগৃহীত
চলতি বছরের গোড়া থেকে এখনও পর্যন্ত, অর্থাৎ, গত আট মাসে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি পর্যটক এবং সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী কাশ্মীরে এসেছেন। পহেলগাম, গুলমার্গ, সোনমার্গের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলির কাছাকাছি হোটেল এবং অতিথিনিবাসগুলি প্রায় ষোলোআনা পূর্ণ।
পর্যটনের হাত ধরে পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন অংশে কর্ম সংস্থানেও জোয়ার এসেছে।
অর্থনীতির হাল ফেরাতে, চলচ্চিত্র পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সরকারও উদ্যোগী হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
অর্থনীতির হাল ফেরাতে, চলচ্চিত্র পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সরকারও উদ্যোগী হচ্ছে। নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে সরকারি তরফে। ১৪০টির বেশি ছবি এবং সিরিজ়ের শ্যুটিং শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুব সম্প্রতি একটি ফিল্ম স্টুডিয়োর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক ঝঞ্ঝা, অতিমারির মতো বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি সামলে, তিন দশক পর কাশ্মীরের পর্যটনে আবার সোনালি দিন ফিরে এল বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।