Monsoon Travel Destination

৩ পর্যটনস্থল: বৃষ্টির অঝোর ধারায় ভিজে ভিজে ছুটি কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন

ডুয়ার্স, চেরাপুঞ্জি, গোয়া কিংবা হাতের কাছে পুরী ছাড়াও দেশের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এমন কিছু পর্যটনস্থল, যেখানে গেলে বেঁচে থাকার রসদটুকুর সন্ধান পাওয়া যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫০
Share:

শহরের ক্যাকোফোনি, কংক্রিটের জঙ্গল থেকে অনেকটা দূরে নিজেকে নতুন রূপে আবিষ্কার করতে পারেন এই বর্ষায়। ছবি: সংগৃহীত।

বৃষ্টি তো সব জায়গাতেই এক। সে বাড়ির ছাদেই হোক বা পাহাড়ের ঢালে। এই যুক্তি মাথা বুঝলেও মন মানতে চায় না। তাই বর্ষায় এমন কোথাও ঘুরতে যেতে চান, যেখানে গেলে বৃষ্টির অপরূপ দৃশ্য দেখে মন ভরে যাবে। শহরের ‘ক্যাকোফোনি’, কংক্রিটের জঙ্গল থেকে অনেকটা দূরে বৃষ্টিতে ভিজে নিজেকে আবার নতুন করে খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে বর্ষার সৌন্দর্য স্বচক্ষে দেখতে বেশির ভাগ পর্যটকই ডুয়ার্স কিংবা চেরাপুঞ্জিকে বেছে নেন। দেশের মধ্যে এমন আরও অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে শহুরে কোলাহল তুলনায় কম। তেমন তিনটি গন্তব্যের সন্ধান রইল এখানে।

Advertisement

কলকাতা থেকে আকাশপথে ইটানগর, সেখান থেকে গাড়িতে জ়িরো ১১৫ কিলোমিটার। ছবি: সংগৃহীত।

১) জ়িরো, অরুণাচল প্রদেশ

নামে শূন্য হলে কী হবে! প্রকৃতি দু’হাত উজাড় করে সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশের জ়িরো ভ্যালিতে। এখানে প্রাচীন জনজাতি ‘আপাতানি’দের বসবাস। কলকাতা থেকে আকাশপথে ইটানগর পৌঁছে সেখান থেকে জিপে ১১৫ কিলোমিটার। চাইলে ট্রেনেও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগবে। পাহাড়ের ঢালে ধানের চাষ। ধান বোনা থেকে তোলা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় এক একটি উৎসবের মতো। যা দেখার মতো। একে একে ঘুরে নিতে পারেন জ়িরো উপত্যকার বিভিন্ন গ্রাম। এখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ট্যালে অভয়ারণ্য। জঙ্গলের রোমাঞ্চ অনুভব করতে চাইলে একটা দিন হাতে রাখতে পারেন। যাতায়াতের পথে ঢুঁ মারতে পারেন কিউই খেতে। তবে প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুর এখন অশান্ত। তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করে যাওয়াই ভাল।

Advertisement

বেতোয়া নদীর তারে অবস্থিত ওরছা এক সময়ে বুন্দেলাদের রাজধানী ছিল। ছবি: মধ্যপ্রদেশ পর্যটন।

২) ওরছা, মধ্যপ্রদেশ

মধ্যপ্রদেশের নাম শুনলে প্রথমেই খাজুরাহো, কানহা, পান্নার কথাই মনে পড়ে। তবে এগুলি ছাড়া আরও অনেক মণিমাণিক্য ছড়িয়ে আছে মধ্যপ্রদেশে। তারই মধ্যে একটি হল ওরছা। কলকাতা থেকে ঝাঁসি পৌঁছতে হবে ট্রেনে। সেখান থেকে গাড়িতে ওরছার দূরত্ব মাত্র ২৫ মিনিট। চাইলে আকাশপথে গোয়ালিয়র নেমে সেখান থেকে ওরছা পৌঁছনো যায়। বেতোয়া নদীর তারে অবস্থিত এই দুর্গ শহর এক সময়ে বুন্দেলাদের রাজধানী ছিল। চাইলে ঘুরে দেখতেই পারেন মোগল সম্রাটদের আমলে তৈরি বিভিন্ন দুর্গ। যদি পায়ে হেঁটে সে সব না দেখতে চান, তা হলে কয়েকটা দিন শুধু এখানকার পরিবেশ অনুভব করেই কাটিয়ে দিতে পারেন।

জোশীমঠে হোটেলের ঘরের জানলা বা বারান্দা থেকেই গাড়োয়াল হিমালয়ের পাহাড়চূড়া দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।

৩) জোশীমঠ, উত্তরাখণ্ড

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পুরাণ, ইতিহাসেও যদি আগ্রহ থাকে, তা হলে ঘুরে আসতেই পারেন জোশীমঠ থেকে। এখান থেকেই বদ্রীনাথধাম এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার জাতীয় উদ্যানে যাওয়া যায়। পাহাড় সংলগ্ন হোটেলগুলির অবস্থানও বেশ সুন্দর। প্রায় প্রতিটি হোটেলের ঘরের জানলা বা বারান্দা থেকেই গঢ়োয়াল হিমালয়ের পাহাড়চূড়া দেখা যায়। তাই অন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে না হলে এখানে বসে বৃষ্টি দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে। তবে চাইলে জোশীমঠ থেকে প্রায় মাইল দশেক দূরে অবস্থিত তপোবন নামক মনোরম জায়গা থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। একটি উষ্ণ প্রস্রবণও আছে এখানে। কলকাতা থেকে হৃষীকেশ পৌঁছে, সেখান থেকে গাড়িতে যাওয়া যায় জোশীমঠ। এ ছাড়া আকাশপথে দেহরাদুন পৌঁছে সেখান থেকেও জোশীমঠ যাওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement