বেড়াতে গিয়ে অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হন। তার মধ্যে শারীরিক সমস্যা অন্যতম। বমি পাওয়া, ঠান্ডা লাগা খুব কমন। কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে তা থেকে।
পাহাড়ে: পাহাড়ি রাস্তায় গাড়িতে জার্নি করলে অনেকেরই বমি হয়। বিশেষত বাচ্চাদের বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তার সঙ্গে অনেকের মাথাব্যথাও হয়। এ ক্ষেত্রে সতর্ক হলেই সমস্যা এড়ানো যায়।
•গাড়িতে যাত্রা শুরুর অন্তত এক ঘণ্টা আগেই খান। এ ছাড়া পেট ভরে না খাওয়াই ভাল।
•কমলালেবু বা সিট্রাস ফল ব্যাগে রাখতে পারেন। এই ধরনের গন্ধে বমি ভাব কেটে যায়।
•গাড়িতে টানা ছ’-সাত ঘণ্টার জার্নি হলে একটানা না চলে ভেঙে এক ঘণ্টা বাদে বাদে ব্রেক নিতে পারেন।
•ঘুমিয়ে পড়লেও মোশন সিকনেস অনেকটাই কেটে যায়। সঙ্গে ওষুধও রাখতে পারেন। এমন ওষুধই সঙ্গে নিন, যা আগে ব্যবহার করেছেন।
•পাহাড়ে অনেকেরই অক্সিজেনের ঘাটতিতে সমস্যা হয়। উচ্চতার সমস্যায় জানালা বা খাড়াই অঞ্চলের উপর থেকে উঁকিঝুঁকি দেবেন না।
ফ্লাইটে: বিমানে যাতায়াতের সময়ে কানে তালা লেগে যায় অনেকের। এই সমস্যা এড়াতে কানে তুলো গুঁজে রাখতে পারেন। ইয়ারপ্লাগও ব্যবহার করতে পারেন।
•ছোট বাচ্চা নিয়ে ট্রাভেল করার সময়ে এ বিষয়ে সতর্ক হন। ফিডিং বটলে কিছু খাওয়ালে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা খানিক এড়ানো যায়।
খাবারদাবার: সামুদ্রিক নানা খাবার থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। তাই অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টের ওষুধ সঙ্গে নিন।
সমুদ্রসৈকতে: সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়েও সাবধান থাকতে হবে। বালিতে অনেক ঝিনুক থাকে, তাতে পা কেটে যাওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। সেই ক্ষত থেকে কঠিন অসুখও হতে পারে। বালি থেকে অনেকের অ্যালার্জিও হয়। যাঁদের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস: রিভার র্যাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং, স্কিয়িং থেকে শুরু করে স্কুবা ডাইভিং...কত অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। কিন্তু যেখান থেকে এই স্পোর্টস করছেন, সেখানে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে কি না আগে জেনে নিন। মন্দারমণির সমুদ্রসৈকতে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর কিন্তু পুরনো নয়। এমনকি স্কুবা ডাইভিংয়ের সময়েও সাবধানে থাকুন। প্রবালে পা কেটে গেলে ভবিষ্যতে তা অন্য অসুখও ডেকে আনতে পারে।
বেড়াতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই আনন্দ করা। শারীরিক সমস্যা বা দুর্ঘটনায় সেই আনন্দ যেন কম না হয়।