প্রথমবার বিদেশ যাবেন? কী ভাবে পরিকল্পনা করবেন? —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশের মধ্যে এক রকম। কিন্তু প্রথম বার বিদেশ যাত্রা করতে গেলে, মনের মধ্যে যেমন চাপা উত্তেজনা থাকে, তেমনই কোথাও যেন চোরা ভয়ও কাজ করে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়ে যদি কোনও সমস্যা হয়, কী হবে? পাশাপাশি বিদেশ যাত্রার নিয়মকানুনও থাকে। সে সব জানা, কী ভাবে সেখানে গিয়ে ঘোরাঘুরি করবেন, সেই সব ভাবনাও মাথায় চলতে থাকে। প্রথম বার বিদেশ যাত্রার পরিকল্পনা করলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
পাসপোর্ট ও ভিসা
পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বিদেশ যাত্রা সম্ভব নয়। কোনও কোনও দেশে অবশ্য বিশেষ কোনও দেশের বাসিন্দাদের জন্য ভিসা লাগে না। তবে বেশির ভাগ দেশে যেতে গেলেই এগুলি জরুরি। এক এক দেশে ভিসা পাওয়ার জন্য এক এক রকম খরচেরও নিয়ম আছে। সেগুলি আগে থেকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। নিজে ভিসা করতে না পারলে, কোনও নথিভুক্ত ভ্রমণ সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন।
পরিকল্পনা
গন্তব্যস্থল নিয়ে ভীষণ ভাল ভাবে জানা দরকার। কত দিন থাকলে, কী কী দেখা যাবে। গণ পরিবহণের অবস্থা, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কেমন। খরচ কত হতে পারে। সেই দেশে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় কোনটা। যে সময়ে যেতে চাইছেন সে সময় আবহাওয়া কেমন থাকে। এগুলি জানা খুবই জরুরি। যেমন তাইল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে, সে দেশে শহর কেন্দ্রিক রেলপথ বেশ জনপ্রিয়। আবার ইউরোপের বেশ কিছু শহরে ভ্রমণের জন্য বাস পাওয়া যায়। ট্রেন ব্যবহার করলে, কোথা থেকে কোথায় যেতে পারবেন, সে সমস্ত আগে থেকে বিস্তারিত জানলে সুবিধা হবে।
খরচ
শুধু সাধ থাকলেই হবে না, বিদেশ ভ্রমণের জন্য সাধ্যও থাকতে হবে। যে দেশে যেতে চাইছেন সে দেশে অর্থের মূল্য, আপনার দেশের তুলনায় কত বেশি বা কম, তা জানতে হবে। হোটেলের ভাড়া কেমন, হস্টেলে থাকা যায় কি না, ঘুরতে কত খরচ হতে পারে, তা হিসাব-নিকাশ আগে থাকতেই করে নেওয়া ভাল।
থাকার জায়গা
ভ্রমণেরও ধরন আছে। কেউ বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে চান। কেউ আবার খরচ বাঁচাতে হস্টেলও বেছে নেন। বিশেষত সোলো ট্রাভেলার হলে হস্টেলে থাকা সুবিধাজনক। পাশাপাশি, কোন জায়গায় থাকলে ঘুরতে সুবিধা হবে, যাতাযাতের গাড়ি কোথায় থাকলে সহজে পাওয়া যাবে, তা বুঝে নিতে হবে। যে কোনও ভ্রমণে থাকার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন খুব জরুরি।
অগ্রিম বুকিং
বিমান, ট্রেন, থাকার জায়গা, এমনকি গন্তব্যস্থলের টিকিটও অগ্রিম বুকিং করে নিতে পারেন। এতে বেড়াতে যাওয়ার আগে চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। অনেক সময় আগে থেকে সেই স্থানের ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও প্যাকেজ আগে থেকে বুকিং করলে খরচও কম পড়ে।
ফরেক্স কার্ড
যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের মুদ্রা আগাম বদলে নিতে পারেন। পাশাপাশি বিদেশে কখন কী খরচের দরকার পড়ে, সে কারণে কিছুটা নগদ রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন মতো টাকা তোলার জন্য ফরেক্স কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে টাকা তোলা গেলেও, বিদেশে প্রতিবার টাকা তোলার জন্য বাড়তি টাকা মাসুল দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে ফরেক্স কার্ড থাকলে বাড়তি সুবিধা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক উড়ান
বিমানে ওঠার আগে সেই বিমান সংস্থার ভ্রমণ সংক্রান্ত নিয়মবিধি জেনে নিন। হাতের ব্যাগে ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি গুছিয়ে রাখুন। উড়ানের টিকিট থেকে হোটেল বুকিং ও অন্যান্য বুকিংয়ের কাগজ হাতে রাখুন। আন্তর্জাতিক উড়ানে ভ্রমণের অত্যন্ত ৩-৪ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছনো দরকার।