Vande Bharat Express Train on Howrah-Puri Route

সকালে রওনা, দুপুরে পুরী! সমুদ্রস্নান থেকে পুজো, ট্যুর প্ল্যান বানাল আনন্দবাজার অনলাইন

হাতে দু’দিনের ছুটি থাকলেই চলে যেতে পারেন পুরী। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কৃপায় ‘উঠল বাই তো পুরী যাই’ এ বার সত্যি হতে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪৯
Share:

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কৃপায় ‘উঠল বাই তো পুরী যাই’ এ বার সত্যি হতে চলেছে। ছবি: সংগৃহীত।

বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলেই বাঙালির প্রথম মনে আসে পুরীর কথা। পুরীর রাস্তাঘাট হাতের তালুর মতো চেনা হয়ে গেলেও জগন্নাথধামের প্রতি বাঙালির আবেগ চিরন্তুন। কয়েক দিনের ছুটি পেলেই পুরী রওনা দেয় বাঙালি। তবে এখন আর পুরী যেতে গেলে বেশ কয়েক দিনের ছুটি প্রয়োজন হবে না। হাতে দু’দিনের ছুটি থাকলেই চলে যেতে পারেন পুরী। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কৃপায় ‘উঠল বাই তো পুরী যাই’ এ বার সত্যি হতে চলেছে।

Advertisement

গত শুক্রবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে এই ট্রেনের প্রথম মহড়া যাত্রা হয়। খুব শীঘ্রই পুরোদমে হাওড়া-পুরীগামী এই ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে বলে রেল সূত্রে খবর। প্রতি সপ্তাহের সোম, শুক্র এবং শনি— এই তিন দিন হাওড়া থেকে পুরীর উদ্দেশে যাত্রা করবে এই ট্রেন। হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা সকাল ৬.৩০ নাগাদ। পুরী পৌঁছে যেতে পারেন ১২টা নাগাদ। সময় লাগছে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। শুক্রবার থেকেই ছুটির মেজাজ শুরু হয়ে যায়। সে দিনই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে পারেন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা যাত্রা দেখতে দেখতে কেটে যাবে। সূর্য তখন মধ্যগগনে, পৌঁছে যাচ্ছেন পুরীতে।

তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ট্রেনেই খাওয়াদাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ফলে পৌঁছে আর খাওয়াদাওয়ার চিন্তা নেই। ধীরেসুস্থে হোটেল কিংবা হোমস্টেতে উঠুন। খানিক বিশ্রাম নিয়ে চলে যেতে পারেন সমুদ্রস্নানে। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি সমুদ্রের কাছে জমা দিয়ে হোটেল ফিরে আসতে আসতে পেটে ছুঁচোয় ডন মারতেই পারে। কিছু খেয়ে বিকেল বিকেল চলে যেতে পারেন জগন্নাথ মন্দিরে। সেখান গিয়ে প্রথমেই পরের দিনের পুজোর বুকিংটা সেরে ফেলুন। তার পর সন্ধ্যাটা মন্দিরেই কাটাতে পারেন। কিংবা সমুদ্রের হাওয়া গায়ে মাখতে মাখতে মাছভাজা খেতে পারেন। পুজো দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিছু কেনার থাকলে সেগুলিও কিনে নিতে পারেন।

Advertisement

পরের দিন পুরী স্টেশন থেকে হাওড়ার ট্রেন ছাড়ার কথা দুপুর ২টো নাগাদ। ফলে একটু সকালে উঠেই পুজো দিতে চলে যান মন্দিরে। কত ক্ষণ সময় লাগবে, বলা তো যায় না। পুজো দেওয়া হয়ে গেলে কিছু খেয়ে ট্রেনে উঠে পড়ুন। সন্ধ্যা ৭.৩০টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা হাওড়া স্টেশনে। দু’দিনে এর চেয়ে ভাল পুরী সফর কিন্তু হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement