একান্তে ভ্রমণ হোক কোনও চিন্তা ছাড়াই। ছবি: শাটারস্টক।
বিয়ের আগেই সঙ্গীকে আরও ভাল করে বুঝতে, তাঁর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। কেউ বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দল বেঁধে ঘুরতে পছন্দ করেন, কেউ আবার নিরিবিলিতে একান্তে প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। আপনিও কি প্রেমিকাকে নিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? যুগলে ঘুরতে গেলে অবশ্য বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এ ক্ষেত্রে দু’জনকেই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে, না হলে কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে বিপাকে পড়তে হতে পারে। প্রেমিকার সঙ্গে ভ্রমণের আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
সঙ্গীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন সেই বিকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। ছবি: শাটারস্টক।
১) কোথাও যাওয়ার আগে সেই জায়গার খুঁটিনাটি বিষয় ভাল করে জেনে নিতে হবে। সেখানকার স্থানীয় প্রথা, সংস্কৃতি, আইন— সব বিষয় ওয়াকিবহল হয়ে তার পরেই টিকিট কাটুন।
২) সঙ্গীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন সেই বিকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। স্থানটি যেন নিরাপদ, পরিষ্কার এবং আরামদায়ক হয় সেগুলি আগে যাচাই করে নিন। সঙ্গীর সঙ্গে ভ্রমণে গেলে ডরমিটরির পরিবর্তে একটি ব্যক্তিগত রুম বা অ্যাপার্টমেন্ট বুক করাই শ্রেয়। তবে সে ক্ষেত্রে বুকিংয়ের আগে সেই জায়গার রিভিউ দেখে নিতে ভুলবেন না যেন।
৩) সঙ্গীর সঙ্গে ভ্রমণের সময় নিজেদের পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না। এখন অবশ্য যে কোনও হোটেলে বুকিংয়ের আগে সকলেরই পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়, তবে অবিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে সব জায়গাতেই একটু বেশি কড়াকড়ি করা হয়। তাই পরিচয়পত্র না নিলে ঘোরাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে আপনার।
৪) আপনি সঙ্গীকে নিয়ে গোয়ায় ঘুরতে গেলে সেখানে সমুদ্র সৈকতে আপনি তাঁর সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠ হলেন সেই নিয়ে কারও খুব বেশি মাথাব্যথা থাকবে না। অথচ বারাণসীর ঘাটে যদি আপনি সঙ্গীর সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে কিন্তু লোকের চোখরাঙানির সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। তাই যে জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন সেখানকার প্রথা, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।