বিমান থেকে নেমে চটজলদি ব্যাগ ফেরত পাওয়ার উপায় কী? প্রতীকী ছবি
পুজোয় এখন আর আগের মতো লম্বা ছুটি পান না অনেকেই। ফলে সময় বাঁচাতে অনেকেই বিমানে চেপে ঘুরতে যান। হাতব্যাগ ছাড়া বাকি সব বড় ধরনের ব্যাগপত্র বিমানে ওঠার আগেই বিমান সংস্থার হাতে তুলে দিতে হয়। বিমান থেকে নামার পর সেই ব্যাগ ফেরত পেতে অনেক সময় দিতে হয় লম্বা লাইন। লাইন দিয়ে ব্যাগ নিতে ইচ্ছে না করলে মেনে চলতে পারেন বেশ কয়েকটি কৌশল।
১। বেশি টাকা খরচ করলে বেশি সুবিধাও মিলবে। তাই যদি বিজনেস শ্রেণি কিংবা প্রথম শ্রেণির টিকিট কাটেন, তবে পরিষেবা ভাল হবেই। বিমান থেকে নামার পর ব্যাগও ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রেও মিলবে অগ্রাধিকার।
২। বিভিন্ন বিমান সংস্থা কিছু সংখ্যক যাত্রীকে বিশেষ যাত্রী হিসাবে গণ্য করে। টাকার বিনিময়ে এই ধরনের ‘স্পেশাল স্টেটাস’ পাওয়া যায়। পুজোর ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় যেমন বিভিন্ন ক্লাবে ভিআইপি পাস পাওয়া যায়, এই ব্যবস্থাও কিছুটা তেমনই। এই ভাবে ভ্রমণ করলেও তাড়াতাড়ি ফেরত পাওয়া যাবে ব্যাগপত্র।
৩। অনেক সময় সবার শেষে চেক ইন করলে ব্যাগপত্রও বিমানে তোলা হয় সবার শেষে। ফলে ব্যাগ বার করার সময় সবার আগে বাইরে আসে সেই ব্যাগ। তবে সব বিমান সংস্থার ব্যাগ সাজানোর পন্থা এক নয়, কাজেই এই পদ্ধতি সব ক্ষেত্রে কাজ না-ও করতে পারে।
সব বিমান সংস্থা একই ভাবে ব্যাগ নামাবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্রতীকী ছবি
৪। ভঙ্গুর জিনিস ব্যাগে থাকলে, তার উপর ‘ভঙ্গুর’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয় অনেক সময়। এই ধরনের ব্যাগ অনেক সময় সবার শেষে বিমানে তোলা হয়। আবার আলাদা ভাবে নাড়াচাড়া করতে হয় বলে অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেওয়া ব্যাগ নামানোও হয় সবার আগে। কাজেই এমন স্টিকার লাগানো থাকলেও ব্যাগ মিলতে পারে সবার আগে। তবে এই বিষয়টিও একেবারেই অনিশ্চিত। সব বিমান সংস্থা একই ভাবে ব্যাগ নামাবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই নিশ্চিত ভাবে সবার আগে ব্যাগ ফেরত পেতে চাইলে প্রথম দু’টি উপায়ই যুক্তিসঙ্গত।