পুজোয় বেড়ানোর কাউন্টডাউন শুরু এখন থেকেই। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
সময় এল কাছে। বাঙালির সেরা উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হওয়ার আগেই বোধহয় বেড়ানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায় ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির। কারণ, ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয় যাত্রার দিনের ১২০ দিন আগে। ফলে পুজোর ট্রেন টিকিটের বুকিং শুরু হল বলে। এ বারে পুজোর শুরু আগামী ৫ অক্টোবর, শনিবার। ওই দিন সপ্তমী। একটু আগে থেকে কেটে রাখলে বিমানের টিকিটও তুলনায় সস্তা পড়ে।অবশ্য শুধু পুজোই নয়, ওই সময় থেকেই বলা যায়, পায়ের তলায় সর্ষে নিয়ে বাঙালির বেড়ানোর শুরু। যা চলবে আগামী মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত। বেড়ানোর পরিকল্পনা করার আগে চোখ রাখুন আনন্দবাজার ডিজিটালের বেড়ানো বিভাগে। আজ রইল কাছে-দূরের কয়েকটি জায়গার সন্ধান।
সিকিম
বাঙালির বরাবরের প্রিয় সিকিম। রোম্যান্টিক গিরিশ্রেণি, রহস্যময়অরণ্য, উচ্ছ্বল ঝর্না, পাহাড়ের বুক চিরে ছলছল নেমে আসা নদী— সিকিম এককথায় অসাধারণ।একেবারে সিকিম ঘোরা মুশকিল।সময়সাপেক্ষও বটে। তা ছাড়া পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ— সিকিমের চারটি প্রান্তই বৈচিত্রময় ও অনন্য। তাই কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে সিকিম ভ্রমণের পরিকল্পনা করাই ভাল। পর্যায়ক্রমে সিকিম ঘোরার জন্য নীচের লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করুন। তবে, ভ্রমণপিপাসুরা গন্তব্য বেছে নিয়ে নিজেদের মতো করেও সার্কিট বানাতে পারেন।
সিকিমে রেশমপথের আড়ালে নিভৃত অবকাশযাপন
এ বার পশ্চিম সিকিমের অচেনা, অল্পচেনা প্রান্তরে
পায়ে হেঁটে পশ্চিম সিকিমের অজানা অন্দরে
তুষার সাম্রাজ্যের উত্তর সিকিমে স্বাগত
রূপরহস্যে মুগ্ধ করবে চেনা-অচেনা দক্ষিণ সিকিম
কেরল
‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ কেরল। ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের এই রাজ্যও ভ্রমণপাগল বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় গন্তব্য। পাহাড়-চা বাগান-নদী-নারকেল গাছের আন্তরিক আহ্বান এড়ায়, এমন সাধ্যি কার! কেরলও এক দফায় না ঘোরাই ভাল। কারণ, কেরলেও দেখার জিনিস অসংখ্য। শুধু দৌড়ে বেড়ানোই নয়, হাত-পা ছ়ড়িয়ে দু’দণ্ড জিরিয়ে নেওয়ার, এলোমেলো ভাবনা আর ইতস্তত ঘুরে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা কেরল।
কেরলে বেড়ানোর সবথেকে ভাল সময় অক্টোবর থেকে মার্চ। মায়াবী সৈকতে আছড়ে পড়ছে আরব সাগরের অফুরান ঢেউ, চা বাগানের রহস্যময় বাঁক ডাক দিচ্ছে হারিয়ে যাওয়ার, ব্যাকওয়াটারের ধারে নিস্তরঙ্গ গ্রামজীবন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণের অবাধ বিচরণ, কফি ও মশলার বাগানে ঘোরাফেরা— এককথায়, কেরলের তুলনা মেলা ভার। কেরলকেও কয়েকটি সার্কিটে ভাগ করে ঘোরা যায়। কোচি থেকে শুরু করে তিরুঅনন্তপুরমে কেরলভ্রমণ শেষ করতে পারেন। আবার উল্টোটাও করতে পারেন। কেরলকে নতুন করে আবিষ্কারের জন্য নীচের লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করুন।
‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ কেরল আপনাকে স্বাগত জানায়
ঘন অরণ্য, পাহাড়, উচ্ছ্বল ঝর্না, চা বাগান বুকে অপেক্ষায় কেরল
কেরলের সাগরসৈকত, ব্যাকওয়াটার, সবুজের আল্পনা
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধনের নাম কেরল
উত্তরবঙ্গের চা বাগান ও হোমস্টে
বাঙালির চিরকালীন গন্তব্য ঘরের কাছের উত্তরবঙ্গ।বাংলার উত্তরপ্রান্তের অফুরান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ভ্রমণপাগল মানুষ বারে বারে ছুটে আসেন এখানে। চিরচেনা দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্সিয়াং তো আছেই। আছে এই সব অঞ্চলের নানা প্রান্তে লুকিয়ে থাকা অজস্র গন্তব্য। আর সবার উপরে আছে হিমালয়। ট্রেন থেকে এনজেপি নামলেই গ্রাস করে নেয় তীব্র ভাললাগা।বেড়ানোর শুরু। অনুভব করাঅচিন প্রান্তের হাতছানির।মেঘ-কুয়াশা-রোদ্দুরের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে হলে চলে আসুন চামং। পাহাড়ের ঢালে ঢেউখেলানোচা বাগান। মাঝখানে হেরিটেজ বাংলো।
চামং-এর সঙ্গেই ঘুরে নিতে পারেন রঙ্গারুন। দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে কার্যত অনাঘ্রাত সৌন্দর্যের ঠিকানা এই রঙ্গারুন। চা বাগানের মাঝেপাহাড়ের ঢালে হোমস্টে। এক্কেবারে নিরিবিলিতে ছুটি কাটানোর ঠিকানা। ক্লিক করুন নীচের লিঙ্কে।
দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে চলুন
তাজপুর-শঙ্করপুর-বগুরান
কলকাতার খুব কাছেই এই দুই সমুদ্রসৈকত। এখানে যেতে হলে চার মাস আগেট্রেনের টিকিট কাটার ঝামেলা নেই। ট্রেন ছাড়া বাস তো আছেই। চলে যেতে পারেন গাড়িতেও। এই জায়গাগুলিউইকএন্ড ট্রিপের পক্ষে আদর্শ। ক্লিক করুন নীচের লিঙ্কগুলিতে।
তবে মনে রাখবেন, যে কোনও জায়গার ভ্রমণসূচি চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট জায়গার হোটেলে বা হোমস্টে এবং গাড়ির জন্য ফোন করে সাম্প্রতিকতম দর জেনে নেবেন।