কম খরচে বিমানের টিকিট বুক করবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
কর্মব্যস্ততা, বাড়িতে হাজারটা সমস্যা, ছেলেমেয়েদের চিন্তা— সব মিলিয়ে জীবনে চলে আসে একঘেয়েমি ভাব। একঘেয়ে জীবন থেকে ছুটি পেতে কেউ পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে জঙ্গলে চলে যান, কেউ চলে যান পাহাড় কিংবা সমুদ্রে। তবে মন চাইলেই কি আর পিঠে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়া সম্ভব? ছুটি পাওয়াই তো মুশকিল! বিমানের টিকিট কাটলে আবার খানিকটা সময় বাঁচে। তবে শেষ মুহূর্তে বিমানের টিকিটের দাম দেখেই চোখ যেন কপালে ওঠে। দেখা যায়, ঘুরতে যাওয়ার যে মোট বাজেট তার বেশির ভাগটাই বেরিয়ে যাচ্ছে বিমানের টিকিট কাটতে। উপায় জানলে কিন্তু কম খরচেও বিমানেক টিকিট বুক করা সম্ভব। ভাবছেন তো কী ভাবে?
১) সমাজমাধ্যমে বিমান সংস্থার সমাজমাধ্যমের পেজগুলিকে ‘ফলো’ করে রাখুন। অনেক সময়ই সেখানে বিভিন্ন অফারের কথা ঘোষণা করা হয় বিমান সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে। তাই নিজেকে সব সময় আপডেটেড রাখুন।
২) কম দামে টিকিট চাইলে আপনাকে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখতে হবে। যাত্রার দিন যত এগিয়ে আসবে, টিকিটের দাম কিন্তু ততই বাড়তে থাকবে। তাই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই সেরে রাখা ভাল।
৩) অন্য ওয়েবসাইটের মতো, বুকিং সাইটগুলিও আপনার ব্রাউজ়ার থেকে পূর্ববর্তী অনুসন্ধান ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখে। বার বার আমরা যদি কোনও একটি নির্দিষ্ট রুটের বিমানের টিকিটের দাম বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে দেখতে থাকি, তা হলে দাম অনেকটাই বেশি দেখাতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইনকগনিটো মোডে গিয়ে টিকিট বুক করলে আর সেই সমস্যা হবে না।
৪) সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে এমন বিমানের পরিবর্তে কানেক্টিং রুটের বিমানের টিকিট কাটতে পারেন। এ ক্ষেত্রে টিকিটের দাম অনেকটা কম পড়ে। আপনি যদি ছাত্র হন, তা হলে অনেক বিমান সংস্থার টিকিটেই বিশেষ ছাড় পাবেন। তাই টিকিট কাটার সময়ে ভাল করে সেই নিয়ম জেনে নেওয়াই ভাল। বিভিন্ন বিমান সংস্থার সমাজমাধ্যমের পাতায় নজর রাখুন। সেখানে অনেক সময়ে বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়। অনেক সময়ে ৫০ শতাংশ ছাড়েরও ঘোষণা করা হয়।
৫) কোনও একটি ওয়েবসাইটের উপর ভরসা করে টিকিট কেটে ফেলবেন না। অন্তত তিন থেকে চারটে ওয়েবসাইটে দাম দেখে তবেই টিকিট কাটুন। অনেক ওয়েবসাইটে টিকিটের দাম সাধারণত বেশি থাকে। পুরোটাই নির্ভর করে বিমান সংস্থার থেকে পাওয়া কমিশনের উপর।